Dengue: ডেঙ্গু আতঙ্ক বাড়ছে উত্তরপাড়ায়, সতর্ক না হলে বিপদ বাড়বে, মত চিকিৎসকমহলের
Uttarpara: চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু পুরসভার সচেতনতায় কাজ হবে না। সমান ভূমিকা নিতে হবে সাধারণ মানুষকেও।
হুগলি: করোনা নিয়ে এখনও চিন্তা কাটেনি। এরইমধ্যে দোসর হয়ে বসছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। মশাবাহিত এই রোগের ভয়ে কাঁপছে হুগলির উত্তরপাড়া। কিছুদিন আগে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক যুবক মারা যান। ৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম অরিজিৎ কুমার। স্থানীয়দের দাবি, ডেঙ্গু প্রাণ কেড়েছে তরতাজা এই ছেলের। সূত্রের খবর, উত্তরপাড়ায় শক্তি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। এই মুহুর্তে সাত থেকে দশজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রয়েছেন বলেও সূত্রের দাবি। পুরসভা সচেতন করছে। নানারকম সতর্কতামূলক প্রচারও করছে। তবে কোথায় একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে বলেই মনে করছে চিকিৎসকমহল।
স্থানীয় বাসিন্দা অসীম সর্দার বলেন, “এত নোংরা ফেলে রাস্তায়। সমানে জল ফেলে রাস্তায়। একটু ডেঙ্গু মনে হচ্ছে কম। তবে ভয় থেকেই যাচ্ছে। আমাদের এখানে একজন মারাও গেছে। ডেঙ্গু নিয়ে ভয় আমাদের রয়েছেই। সাত আটজনের হয়েও গিয়েছে। মানুষেরও খুব অবহেলা। ভ্যাটের গাড়ি কিন্তু পুরসভা দু’বেলা পাঠায়। তারপরও রাস্তা নোংরা করে মানুষজন।”
চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু পুরসভার সচেতনতায় কাজ হবে না। সমান ভূমিকা নিতে হবে সাধারণ মানুষকেও। বারবার বলা সত্ত্বেও অনেকেই বাড়ির ভিতর জল জমিয়ে রাখছেন। তাতে মহানন্দে বাড়ছে ডেঙ্গুর লার্ভা। চিকিৎসকদের মত, রাতে মশারি তো টাঙাতেই হবে। প্রয়োজনে দিনেদুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোই ভাল। আগাম সতর্কতাই বিপদ থেকে রক্ষার পথ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রবিবার একটি বিশেষ দল উত্তরপাড়ায় যায়। পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখে। দলের প্রতিনিধিরা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন।
শ্রীরামপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুমন মণ্ডলের নেতৃত্বে এদিন বিশেষ দল এলাকা পরিদর্শন করে। তিনি বলেন, “নোংরা কিছু আছে দেখলাম। জল জমাও আছে। একটা বাড়ি দেখলাম, সেখানে ডেঙ্গু পজিটিভ রয়েছেন। অথচ পাশেই একটা পাত্র পাওয়া গিয়েছে, যেখানে জমা জলে মশার লার্ভা ঘুরছে। এভাবে চললে তো বিপদ ছড়াবে। প্রতিটা বাড়ির মানুষকে জানিয়েছি, জল জমানো যাবে না।” উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, বেশ কয়েকজনের ডেঙ্গু হয়েছে। প্রশাসন সবসময় সচেতন করছে। আরও পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তবেই বিপদ টলবে।