Digha: দিঘার সমুদ্রেই কি লুকিয়ে ছিল বিপদ? কীভাবে কী ঘটে গেল, এখনও বুঝতে পারছেন না প্রৌঢ়

Pandua: পাণ্ডুয়ার শান্তিনগরের বাসিন্দা নরেশ বর্মন। তিনি গত মঙ্গলবার পাণ্ডুয়া থেকে বাসে দিঘা গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে বাসেই বাড়ি ফেরেন।

Digha: দিঘার সমুদ্রেই কি লুকিয়ে ছিল বিপদ? কীভাবে কী ঘটে গেল, এখনও বুঝতে পারছেন না প্রৌঢ়
পাণ্ডুয়া হাসপাতালের চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2022 | 7:32 PM

হুগলি: দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়। সেখান থেকে ফিরে গায়ে অসহ্য যন্ত্রণা আর তুমুল জ্বর। পরিস্থিতি এমন হয় যে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত হতে হয়। অথচ কেন এমনটা হল, তা নিয়ে ধন্দে প্রৌঢ়ের পরিবার, উত্তর খুঁজছেন চিকিৎসকরাও। শনিবার সকালে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নরেশ বর্মন নামে ওই ব্যক্তিকে। পরিবারের অনুমান, কোনও বিষাক্ত পোকা কামড়েছে নরেশকে। যদিও চিকিৎসকরা সমস্তরকম পরীক্ষানিরীক্ষা করালেও এখনও বিষাক্ত কিছু কামড়ের কোনও প্রমাণ পাননি বলেই জানিয়েছেন।

পাণ্ডুয়ার শান্তিনগরের বাসিন্দা নরেশ বর্মন। তিনি গত মঙ্গলবার পাণ্ডুয়া থেকে বাসে দিঘা গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে বাসেই বাড়ি ফেরেন। এদিকে বাড়িতে ফেরার পর থেকেই খেয়াল করেন, তাঁর বাঁ পা ফুলে যাচ্ছে। সারা পা জুড়ে কেমন যেন আঁচড়ের চিহ্ন। সঙ্গে গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, হু হু করে চড়ছে শরীরের তাপমাত্রার পারদ। শনিবার সকালেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে।

hospital

নরেশ বর্মন জানান, পরিবার নিয়ে দিঘা গিয়েছিলেন মঙ্গলবার। বন্ধুরাও সঙ্গে ছিলেন। নরেশের কথায়, “দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলাম। তারপর বাসে বাড়ি ফিরলাম। যেই বাস থেকে নেমেছি, দেখি এই অবস্থা। মনে হয় কোনও পোকা কামড়েছে। তারপর যন্ত্রণা। হাসপাতালে দেখালাম। ডাক্তার বললেন ভর্তি হতে। রক্তপরীক্ষা, অন্যান্য পরীক্ষা করেছি। খুব জ্বর এসে গিয়েছিল। যন্ত্রণায় একেবারে কুঁকড়ে গিয়েছিলাম। বমির ভাবও ছিল। মনে তো হচ্ছে বিষাক্ত পোকা কামড়েছে।”

পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, “হাসপাতালে উনি ভর্তি আছে। কোনও বিষাক্ত কিছু কামড়ালে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, সেগুলি ক্লিনিকালি কিছু পাইনি। রক্ত পরীক্ষাও করা হয়েছে। তাতেও বিষাক্ত কিছুর উপস্থিতি দেখা যায়নি। রোগীও স্থিতিশীল। তবু দু’দিন ভর্তি থাকবেন। আমরা পর্যবেক্ষণে রাখব। মনে হচ্ছে জলে কোনও পোকামাকড় কামড়েছে। বালিতেও কিছু কামড়াতে পারে।” এদিকে এই ঘটনার পর চিন্তায় পরিবার। এমন কী হল, যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল পরিবারের কর্তাকে, ভেবেই পাচ্ছেন না তাঁরা।