Mamata Banerjee on Sandeshkhali: থমথমে সন্দেশখালি, চার দিন পর মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
Mamata Banerjee: কোথাও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও মার খেতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। কার্যত জ্বলছে গোটা সন্দেশখালি। এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সোমবারই সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
ডুমুরজোলা: মাস খানেক আগে সন্দেশখালিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের। সেই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। শেখ শাহজাহান কোথায়, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও সামনে আসেনি। তার মধ্যেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে সেই সন্দেশখালি। গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যত আগুন জ্বলছে এলাকা জুড়ে। কোথাও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও মার খেতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। সন্দেশখালি জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার আরামবাগের সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এদিন ডুমুরজোলা হেলিপ্যাডে পৌঁছনোর পর সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রথমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি যা বলার আরামবাগে গিয়ে বলব।’ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এদিন সন্দেশখালি গিয়েছেন শুনে মমতা বলেন, “যে কেউ যেতেই পারেন। আমি রাজ্য মহিলা কমিশনকে পাঠিয়েছিলাম। তারা ঘুরে এসে রিপোর্ট দিয়েছে।”
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা যারা গণ্ডগোল করেছে, তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
গত বৃহস্পতিবার দেখা যায়, লাঠি হাতে রাস্তায় নেমেছেন সন্দেশখালির মহিলারা। দিনের পর দিন তাঁদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামেন তাঁরা। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। অভিযোগ ওঠে উত্তম সর্দার, শিবু হাজরার নামে।
গত শনিবার রাতে উত্তমকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও খোঁজ নেই শিবু হাজরার। পুলিশের দাবি, শিবুর বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অন্যদিকে, রবিবার সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে সন্দেশখালি-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে।