Howrah Murder: পারিবারিক অশান্তির মধ্যে বাড়ির লোকের হাতেই খুন বৃদ্ধা, শোরগোল আন্দুলে
Howrah Murder: অভিযোগ, নূরপান বেগম ও রুবিনা বেগমরা বেধড়ক মারধর করেন রশিদাকে। তাঁর বুকে সজোরে লাঠি দিয়ে ঘা দেওয়া হয়। তাতেই অচৈতন্য় অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়া। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
হাওড়া: প্রায়শই ঝামেলা হত। এদিনও হচ্ছিল। এরইমধ্যে পরিবারের সদস্যরাই পিটিয়ে মেরে ফেললেন প্রৌঢ়াকে। অভিযোগ এমনই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা আন্দুল আরগড়ি ফকিরপাড়া এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আন্দুলের আরগড়ি ফকিরপাড়ায় রশিদা বেগমের বাড়িতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল। রশিদা বেগমের দুই ছেলের সঙ্গে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল তাঁদের আত্মীয় নূরপান বেগম ও রুবিনা বেগমের। আচমকা তাঁদের মধ্যে চলে আসেন রশিদা।
অভিযোগ, নূরপান বেগম ও রুবিনা বেগমরা বেধড়ক মারধর করেন রশিদাকে। তাঁর বুকে সজোরে লাঠি দিয়ে ঘা দেওয়া হয়। তাতেই অচৈতন্য় অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়া। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় হতবাক পাড়া-প্রতিবেশীরা। তাঁরা বলছেন, অশান্তি হত প্রায়ই। তাই বলে পরিবারের লোকের হাতেই খুন? ভাবতেই পারছি না!
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। গ্রেফতার করা হয় নূরপান বেগম ও রুবিনা বেগমকে। খুনের মামলা রুজু হয়েছে। আটক করা হয় এক নাবালিকাকেও। এদিন ধৃত দুই মহিলাকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক একজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত ও অন্যজনের তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।