Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে, সকাল ৯টায় নোটিস এল ‘ভ্যাকসিন নেই’

Howrah: জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, হাওড়ায় ৩৬ লক্ষ বাসিন্দাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ লক্ষ বাসিন্দাকে দু’টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এখনও অনেকে ভ্যাকসিন পাননি। অনেকে প্রথম ডোজ পেয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ পাননি।

ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে, সকাল ৯টায় নোটিস এল 'ভ্যাকসিন নেই'
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2021 | 9:26 PM

হাওড়া: জেলায় পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় ফের শুরু হল বিক্ষোভ। বুধবার ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন হাওড়া শহরের বাসিন্দারা। বন্ধ হল রাস্তা, তুমুল উত্তেজনা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

বুধবার ভোর রাত থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লাইন দিয়েও হাওড়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন না পেয়ে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। ওই ওয়ার্ডে ৪ নম্বর বরো অফিসের সামনে নরসিংহ দত্ত রোডে শুরু হয় অবরোধ। এদিকে অবরোধ তুলতে ছুটে আসে বাঁটরা থানার পুলিশ। প্রায় আধঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পর পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

ভ্যাকসিন না থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে বলে মানলেন প্রশাসনিক কর্তারাও। তাঁরা জানান, চাহিদামতো যোগান দিতে পারলে তবেই এই সমস্যা মিটবে। এদিকে অসীম দাস নামে এক বিক্ষোভকারীর কথায়, ৪ নম্বর বরো অফিসের তরফে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছিল ৪৫বছরে বেশী বয়স্ক ৩০ জনকে এবং ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ৫০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেই মতো অনেকেই ভোররাত থেকে বরো অফিসে লাইন দেন। কিন্তু সকাল ৯টা নাগাদ একটি নোটিস আসে। বলা হয়, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় এদিন ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না!

আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয়া। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ভ্যাকসিন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও তা রক্ষা করা হয়নি। কেন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হল? এপ্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে ওই বরো অফিসে আগে কোনও নোটিসই দেওয়া হয়নি।

তাঁর কথায়, বুধবার হাওড়া পুরসভা মোট চারটি জায়গায় ভ্যাকসিন দেয়। ওই চারটি জায়গাতেই কেবল আগে থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই চারটি জায়গা হল শালকিয়ার হরগঞ্জ বাজার, লিলুয়া, বেলুড় ও শিবপুর। সেইমতোই এদিন ওই চার জায়গায় পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

বিক্ষোভ নিয়ে হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল জানালেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন না আসাতেই হাওড়ায় অনেক জায়গায় ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, হাওড়ায় ৩৬ লক্ষ বাসিন্দাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ লক্ষ বাসিন্দাকে দু’টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এখনও অনেকে ভ্যাকসিন পাননি। অনেকে প্রথম ডোজ পেয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ পাননি।

আরও পড়ুন: ৫ বছর আগে মৃত এখনও রেশন তুলছেন! ঘাটালে ‘ভূতুড়ে কাণ্ডে’ তোলপাড়

প্রতিদিন যেখানে ৫০ হাজার বাসিন্দাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ভাবছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর, সেখানে মাত্র ৫ হাজার জনকেও ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, নিয়মিত ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় অনেক জায়গাতেই আগে থেকে নোটিস দিয়েও পরে ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না।