Domjur murder case: ‘সারপ্রাইজ’ দেবেন বলে ডেকেছিলেন স্বামীই, ডোমজুড়-কাণ্ডে পুকুর থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র

Domjur murder case: গত রবিবার একটি অন্ধকার, নির্জন এলাকায় অনুশ্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন চন্দন। সাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান অনুশ্রী।

Domjur murder case: 'সারপ্রাইজ' দেবেন বলে ডেকেছিলেন স্বামীই, ডোমজুড়-কাণ্ডে পুকুর থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র
অনুশ্রী খুনে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2023 | 7:38 AM

ডোমজুড়: অনুশ্রী-খুনে সামনে আসছে একের পর এক তথ্য। তাঁর স্বামী চন্দন ইতিমধ্যেই খুনের কথা স্বীকার করেছেন। আর এবার পুকুর থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র। ওই আগ্নেয়াস্ত্রেই গুলি করা হয়েছিল অনুশ্রীকে! জেরায় পুলিশকে সে কথাই জানিয়েছেন ডোমজুড়ের চন্দর মাজি। কেন স্ত্রীকে খুন করলেন তিনি? কেন তাঁকে নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে গেলেন স্বামী? এসব প্রশ্নর উত্তর জানতে এখনও চলছে তদন্ত। দু দিন আগেই ওই পুকুরের সামনে গিয়ে চন্দন পুলিশকে দেখিয়েছিলেন, কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ছুড়ে ফেলেছেন তিনি। এরপর ওই পুকুর থেকে অনুশ্রীর মোবাইলটি তোলা হলেও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যাচ্ছিল না।

জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে অনুশ্রীর কাজ করা নিয়েই নাকি আপত্তি ছিল চন্দনের। একদিকে মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভের কাজ করতেন অনুশ্রী, সেই সঙ্গে নাচের অনুষ্ঠানেও যোগ দিতেন। এসব নাকি পছন্দ ছিলে না স্বামী চন্দনের। এমনকী অনুশ্রীর বাপের বাড়ির কাছে পনও চেয়েছিলেন তিনি। দিনের পর দিন অনুশ্রীকে মারধর করা হত, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চলত বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। চন্দনের বিরুদ্ধে ডোমজুড় থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগও দায়ের করেছিলেন অনুশ্রী।

পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, গত রবিবার একটি অন্ধকার, নির্জন এলাকায় অনুশ্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন চন্দন। সাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান অনুশ্রী। সারপ্রাইজ দেওয়ার নাম করে ডেকে পাঠিয়েই খুন! চোখে রুমাল বেঁধে মাথায় গুলি করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এরপর নাকি অনুশ্রীর মোবাইল ও আগ্নেয়াস্ত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে।

ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই সেভেন এম এম পিস্তলটি উদ্ধার করে পুলিশ। অনুশ্রীর সাইকেলটিও একটি গ্যারাজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আগেই। কে চন্দনকে আগ্নেয়াস্ত্রটি দিয়েছিল, সেটাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। আর কেউ এই খুনের পিছনে আছে কি না, খুনের উদ্দেশ্য ঠিক কী? এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা পুলিশের কাছে।