AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ব্রিগেডে যোগ দেওয়ার কথা ভেবে দেখব, জোট হলে বোঝা যাবে আন্তরিক কিনা : আব্বাস সিদ্দিকি

শনিবার বৈঠকে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ, জোট প্রক্রিয়া সফল হলে তবেই ব্রিগেডে থাকবেন, জানালেন আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui)

ব্রিগেডে যোগ দেওয়ার কথা ভেবে দেখব, জোট হলে বোঝা যাবে আন্তরিক কিনা : আব্বাস সিদ্দিকি
ছবি- ফেসবুক
| Updated on: Feb 20, 2021 | 8:26 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddiqui) দলের সঙ্গে জোট সমঝোতায় হুগলির বৈদ্যবাটী জোনাল অফিসে ফের বৈঠকে বসছে বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফ নেতৃত্ব। সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার আগে জোট নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতা আব্বাস সিদ্দিকি।

শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় প্রথম রাজনৈতিক সভা করলেন সিদ্দিকি। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি ও পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সভা থেকে সুর চড়ান পিরজাদা ও রাজনৈতিক নেতা। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জোট নিয়ে মন্তব্য করেন সিদ্দিকি। বাম-কংগ্রেস জোট (Left-Congress Alliance) নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সিদ্দিকি বলেন, জোটের আলোচনা প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তার আগে এ নিয়ে মুখ খুলতে তিনি নারাজ বলে  জানান আইএসএফ নেতা। তাঁর কথায়, ‘জোট হলে তখনই বোঝা যাবে কে কতটা আন্তরিক।’

বামেদের ব্রিগেড সভায় তাঁরা কি উপস্থিত থাকছেন? সিদ্দিকি বলছেন, ব্রিগেডে যাওয়া যেতেই পারে। তার আগে জোট প্রক্রিয়া কোন জায়গাতে রয়েছে সেদিকে নজর থাকবে তাঁদের। উল্লেখ্য এদিনই হুগলির বৈদ্যবাটী জোনাল অফিসে জোট নিয়ে ফের এক দফা আলোচনায় বসছে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ নেতা। সিপিএমের তরফে মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আইএসএফের হয়ে বৈঠকে থাকছেন নৌসাদ সিদ্দিকি।

আরও পড়়ুন: দিলীপ ঘোষের পরিবর্তন যাত্রায় ট্যাবলোয় হামলা, তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত মিনাখাঁ

বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা প্রক্রিয়ায় তেমন কোনও সমস্যা দেখা না দিলেও জট মূলত আইএসএফ ও কংগ্রেসের সিট ভাগ নিয়ে। সিপিএম চায় তাদের মতো কংগ্রেসও যেন ২০টি আসন ছেড়ে দেয় সিদ্দিকির দলকে। কিন্তু সূত্রের খবর, অধীর চৌধুরীরা পাঁচ থেকে আটটির বেশি আসন ছাড়তে কোনওভাবেই রাজি নন। সমস্যা এখানেই শেষ নয়। জানা যাচ্ছে, আইএসএফ এমন কিছু আসন চেয়েছে যেগুলিতে কংগ্রেস গতবারের ভোটে জয় পেয়েছে। মূলত মুর্শিদাবাদ ও মালদার ওই আসনগুলিকে কংগ্রেস ও আইএসএফ দুই তরফই নিজেদের অবস্থানে অনড়। এখন দেখার শনিবার বৈঠক হলে সেখান থেকে কোনও রফাসূত্র বের হয় কিনা। এদিকে আসন সমঝোতা হোক বা না হোক শনিবার থেকে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারে পুরোদমে নেমে পড়লেন বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকি।