নালার মধ্যে থেকে ভেসে আসছিল কান্না, কাছে যেতেই জোড়া চিতাশাবকের দেখা পেলেন শ্রমিকরা
চা-বাগানে (Tea Garden) চিতাশাবক বেরনোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাগানে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন। স্থানীয়দের অনুমান, শাবক দুটি বাগানে থাকার জন্য কাছাকাছিই হয়ত মা-চিতাটিও থাকতে পারেন। কর্মরত শ্রমিকদের আশঙ্কা নিজের সন্তান রক্ষার্থে হয়ত মা-চিতাটি শ্রমিকদের উপর আক্রমণও করতে পারে।
জলপাইগুড়ি: সকালবেলা চা-বাগানে (Tea Garden) গিয়ে আচমকাই নালার মধ্যে কান্নার আওয়াজ পান শ্রমিকরা। হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে দেখেন নালার মধ্যে আটকে রয়েছে কয়েক মাসের দুই চিতাশাবক (Cubs)। সোমবার দুপুরে, মেটেলি ব্লকের ইংডং চা-বাগানের ঘটনা।
চা-বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে কাজ করার সময়েই নালার মধ্যে থেকে কান্নার আওয়াজ পান তাঁরা। তবে প্রথমটা সেই আওয়াজে বিশেষ গা করেননি। কিন্তু ক্রমশ আওয়াজ বাড়তে থাকলে তাঁদের সন্দেহ হয়। এরপর, সাহস করে নালার কাছে যেতেই তারমধ্যে দুই চিতাশাবককে আটকে থাকতে দেখেন ওই শ্রমিকরা। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমটা ভয় পেলেও সঙ্গে সঙ্গে চা-বাগানের ম্যানেজারকে খবর দেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় বনদফতরেও।
এদিকে, চা-বাগানে (Tea Garden) চিতাশাবক বেরনোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাগানে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন। স্থানীয়দের অনুমান, শাবক দুটি বাগানে থাকার জন্য কাছাকাছিই হয়ত মা-চিতাটিও থাকতে পারে। কর্মরত শ্রমিকদের আশঙ্কা নিজের সন্তান রক্ষার্থে হয়ত মা-চিতাটি শ্রমিকদের উপর আক্রমণও করতে পারে। চা-বাগানে চিতাশাবকের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। ঘটনাস্থলে জনসমাগম দেখে সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ফাঁকা করার নির্দেশ দেন তাঁরা। তারপর গোটা সময়টাই বনকর্মীদের নজরে থাকে ওই শাবকদ্বয়। চা-বাগানের সমস্ত কর্মীদেরও সরিয়ে আনা হয়। খুনিয়া রেঞ্জের অধিকর্তা রাজ কুমার লায়েক বলেন, “আমরা চিতাবাঘের শাবক দুটিকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছি।আশা করছি অন্ধকার নেমে এলে শাবক দুটিকে মা চিতা এসে নিয়ে যাবে।” উল্লেখ্য, চা-বাগানে চিতা বা চিতা শাবক উদ্ধার নতুন ঘটনা নয়। কয়েক মাস আগেও, নাগরাকাটার চা-বাগান থেকে ফাঁদ পেতে একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘকে উদ্ধার করেছিল বন দফতর।
আরও পড়ুন: সকালে চা-বাগানে হঠাৎ হুঙ্কার, বন দফতরের ফাঁদে ধরা পড়ল আরও এক পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ