Jalpaiguri: স্কুলের স্পোর্টসেও চাঁদার জুলুম? এখানেও নাম জড়াল তৃণমূলের

Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক, নিম্ন বুনিয়াদি, মাদ্রাসা এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির ৪০তম বার্ষিক শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা রয়েছে ২৭ জানুয়ারি ও ২৮ জানুয়ারি। ধূপগুড়ি ৩, ধূপগুড়ি ৪ ও ধূপগুড়ি পশ্চিম মণ্ডলের স্কুল নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আর একদিন পরই হতে চলেছে ধূপগুড়ির পুর-ফুটবল ময়দানে। তার আগে এমন সাংঘাতিক অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে।

Jalpaiguri: স্কুলের স্পোর্টসেও চাঁদার জুলুম? এখানেও নাম জড়াল তৃণমূলের
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ঘিরে বিতর্ক। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2024 | 11:31 AM

জলপাইগুড়ি: তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের বিরুদ্ধে উঠল সাংঘাতিক অভিযোগ। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির জেলাস্তরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। আর সেই স্পোর্টসকে সামনে রেখেই শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের একটা অংশের দিকে। ডিআই (প্রাথমিক) শ্যামলচন্দ্র রায় জানান, কোথাও কোনও চাঁদা তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।

জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক, নিম্ন বুনিয়াদি, মাদ্রাসা এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির ৪০তম বার্ষিক শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা রয়েছে ২৭ জানুয়ারি ও ২৮ জানুয়ারি। ধূপগুড়ি ৩, ধূপগুড়ি ৪ ও ধূপগুড়ি পশ্চিম মণ্ডলের স্কুল নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আর একদিন পরই হতে চলেছে ধূপগুড়ির পুর-ফুটবল ময়দানে। তার আগে এমন সাংঘাতিক অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা দফতর এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার যাবতীয় খরচ দেয়। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে, এরকম সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে চাঁদাও নেওয়া যাবে না। অথচ তারপরও এক প্রকার জোর করেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে এই চাঁদা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সবথেকে বড় কথা, রাজ্যের শাসকদলের প্রভাব রয়েছে এমন শিক্ষক সংগঠনের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা এবং অস্থায়ী শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি এর প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

নজিরবিহীন এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষকমহলে। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের একাংশও। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতরও তুঙ্গে। বিজেপি প্রভাবিত বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের জেলা সম্পাদক জয়ন্ত কর যেমন বলেন, সরকারি স্কুলের খেলা আজীবন সরকারি অর্থে হয় বলে সকলেই জানেন। অথচ এখন শোনা যাচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। জয়ন্ত কর জানান, তাঁদের প্রতিবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে লিখিত আকারে জানিয়েছেন তাঁরা। এই স্পোর্টস হওয়ার পর সমস্ত শিক্ষক সংগঠনকে ডেকে আয় ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হোক বলেও দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ-এর জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝায়ের দাবি, খুব সুকৌশলে এই টাকা নেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, নিমন্ত্রণপত্রে কাউন্টার পার্ট করা হয়েছে। তার একটি অংশে হাতে লিখে অর্থ নেওয়া হচ্ছে এবং অন্য পার্ট শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদপত্র সংসদ দফতরে জমা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

তবে তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা স্পোর্টস কমিটির কো-অর্ডিনেটর স্বপন বসাক বলেন. “স্পোর্টস সংক্রান্ত মিটিংগুলিতে চাঁদা আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আর তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে চাঁদা আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের স্পোর্টসের জন্য ইতিমধ্যে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে শিক্ষা দফতর। সুতরাং চাঁদা আদায়ের প্রশ্নই নেই। ফলে কেউ যদি তা করে থাকে তাহলে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানান। তদন্ত হবে।”

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্য মোহন রায় বলেন সরকারি নির্দেশ রয়েছে শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা যাবেনা।চাঁদা আদায় করা হচ্ছে এই জাতীয় অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে না করে আমার কাছে করুক। তবে আমি এখোনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায়ও বলেন, সরকারি নির্দেশ রয়েছে শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে না জানিয়ে তাঁদের কাছে করুক।