Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dhupguri: শ্মশানে ‘রেশনের লাইন’! প্রয়াত নেতার দাহ করতে এসে মহা ফাঁপড়ে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা

Dhupguri: বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন সুভাষচন্দ্র দাস। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাত্রিবেলা শ্মশানে উপস্থিত হন জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়, ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ সহ জেলার এবং স্থানীয় নেতৃত্ব। এরপরই হয়রানির অভিযোগ করেন তাঁরা।

Dhupguri: শ্মশানে ‘রেশনের লাইন’! প্রয়াত নেতার দাহ করতে এসে মহা ফাঁপড়ে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা
এই সেই শ্মশানImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2023 | 1:11 PM

ধূপগুড়ি: লাইন দেখে মনে হয়েছে যেন দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অথবা রেশন দোকানে লাইনে রয়েছেন। তারপর আবার ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিন্তু কে বলবে এটা শ্মশান? আর এই শ্মশানেই প্রয়াত বিজেপি নেতা সুভাষ চন্দ্র দাসের মৃতদেহ দাহ করতে এসে চরম অসুবিধায় পড়লেন বিজেপি সাংসদ-বিধায়করা। ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে।

বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন সুভাষচন্দ্র দাস। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাত্রিবেলা শ্মশানে উপস্থিত হন জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়, ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ সহ জেলার এবং স্থানীয় নেতৃত্ব। এরপরই হয়রানির অভিযোগ করেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ সৎকার করতে নিয়ে এসে চরম হয়রানির এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বীকার হলেন মৃতের পরিবার এবং বিজেপি নেতারা। তাঁদের দাবি, ঘুটঘুটে অন্ধকার শ্মশানের চারপাশ। নেই আলো। তারপর শ্মশানে  আবার লম্বা লাইন। ভিতরে গিয়ে জানতে পারলেন, নষ্ট হয়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লির তার। শুধু তাই নয়, খারাপও হয়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিন চুল্লি। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পর তাঁদের জানানো হয়, চুল্লি খারাপ থাকার কারণে জ্বালানি কাঠ দিয়েই সৎকার করতে হবে দেহ। যা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মৃতের পরিবার সহ বিজেপি নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, কাঠ দিয়েই যদি সৎকার করতে হবে তাহলে গ্রামেই করতে পারতেন। এত দূর এসে লাইনে দাঁড়াতেন না।

জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, “মৃতের পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিল বিদ্যুতিক চুল্লিতে শেষকৃত্য করবে। কিন্তু এখানে এসে তাদের হয়রানির শিকার হতে হল। চুল্লি নাকি খারাপ, যার কারণে মৃতদেহ এনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে জ্বালানি কাঠ জোগাড়ের জন্য।” শ্মশানের দায়িত্ব থাকা কর্মী কার্তিক রায় বলেন, “শুক্রবার বিদ্যুতিন চুল্লি খারাপ হয়েছে। বিকল হওয়া যন্ত্রাংশ খোঁজার জন্য বীরপাড়া যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি যন্ত্রাংশ। তবে রবিবারের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।” জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “ওনারা জেনে শুনে গিয়েছেন কী করতে? আসলে ওনারা কী নির্বাচনের জন্য দেখানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূল কাজ করে না। ওটা খারাপ হলে ঠিক করবেও তৃণমূল। মানুষের জন্য কাজও করবে তৃণমূল।”