Jalpaiguri: রুটিন বদলের দাবি, অধ্যক্ষের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ অধ্যাপক-অশিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে
Jalpaiguri: পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশে খবর দেন অধ্যক্ষ। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অশিক্ষক কর্মচারীরা।
জলপাইগুড়ি: পুরনো রুটিন বাতিল করে চালু করতে হবে নতুন রুটিন। আর সেই দাবিতে একেবারে কলেজের অধ্যক্ষর ঘরে ঢুকে তাণ্ডবের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজের (Jalpaiguri Commerce College) অধ্যাপক-অধ্যাপিকা-অশিক্ষক কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধে। তাতেই কলেজ চত্বরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কলেজের (College) নতুন রুটিন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, এই রুটিন বলবৎ হলে হলে দূর দুরান্ত থেকে আসা পড়ুয়াদের গাড়ি পেতে সমস্যা হবে। অসুবিধায় পড়তে হবে তাঁদের। এই রুটিন বাতিলের দাবিতেই কলেজের একাংশের পড়ুয়া বিক্ষোভে সামিল হয়। তালাও দেওয়া হয় কলেজে। সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা যে সময় অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে কথা বলছেন সেই সময় অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে যান কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের একাংশ। তাঁরা অধ্যক্ষের ডঃ সিদ্ধার্থ সরকারের উপর চড়াও হয়ে টেবিল চাপড়াতে থাকেন বলে অভিযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় সিসিটিভির লাইন। এমনকী সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ চত্বরে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশে খবর দেন অধ্যক্ষ। ঘটনা প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ডঃ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, “ছাত্ররা এসেছিল নতুন রুটিন চালুর দাবি নিয়ে। আমি তাতে সই করে দিই। জানিয়ে দিই সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ক্লাস হবে। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমার ঘরে ঢুকে যায় কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা,অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ। আমার ঘরে তাঁরা তাণ্ডব চালান। আমার গায়ে হাত দেয়। সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।” যদিও প্রিন্সিপালের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন কলেজের হেড ক্লার্ক রাজীব চৌধুরী। তিনি বলেন, “রুটিন নিয়ে কলেজে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তাই ছাত্রদের সঙ্গে আমরাও প্রিন্সিপালের কাছে যাই। কিন্তু প্রিন্সিপাল যদি তাঁর ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ করে থাকেন তবে তা তাঁকেই প্রমান করতে হবে। আমরা তাঁর উপর চড়াও হইনি।”