অক্সিজেনের অভাবে বসে করোনা রোগী, পিপিই ছাড়া চিকিৎসা নার্সের, চরম অব্যবস্থা
"বাবার করোনা পজিটিভ। হাসপাতালে নিয়ে এসেছি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে। মঙ্গলবার রাত থেকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু এখনও অক্সিজেন লাগানো হয়নি।"
ধূপগুড়ি: জেলা জুড়ে বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। তখন চরম উদাসীনতার ছবি ধূপগুড়ি করোনা হাসপাতালে। করোনা পজিটিভ রোগীর বসিয়ে রাখা হয়েছে এমার্জেন্সি বিভাগের সামনে। দেওয়া হয়নি অক্সিজেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগলেও এক ঘন্টার বেশি সময় তাঁকে বসে থাকতে হল এভাবেই!
এখানেই শেষ নয়। রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের টনক নড়ে। Tv9 বাংলা-র খবরের জেরে শুরু হয় তৎপরতা। কিন্তু তার পরে আর ও এক ছবি। এবার দেখা গেল, করোনা রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা, সব কাজ করা হল কোনও সাবধানতা ছাড়াই। নার্সের পরনে নেই পিপিই কিট। স্বাস্থ্যকর্মীর তো নেইই! এদিকে সরকারি নির্দেশ অনুসারে, করোনা পজিটিভ রোগীকে দেখার সময় পিপিই কিট পরা আবশ্যিক। কিন্তু ধূপগুড়ি হাসপাতালে এ সবের বালাই নেই।
হাসপাতালে ভর্তি এক করোনা রোগীর ছেলে তাপস সরকারের কথায়,”বাবার করোনা পজিটিভ। হাসপাতালে নিয়ে এসেছি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে। মঙ্গলবার রাত থেকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু এখনও অক্সিজেন লাগানো হয়নি।”
হাসপাতালে নিজস্ব কাজে এসেছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা কৃষ্ণদেব রায়। তাঁকে এ বিষয়টি জানানো হলে মেনেই নেন এটা ‘ব্যর্থতা’। কাউন্সিলরের কথায়, এভাবে একজন করোনা আক্রান্তকে কোনওরকম পিপিই কিট ছাড়া ডাক্তার, নার্সরা দেখছেন। এটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতা। তাছাড়া আক্রান্তের পরিবার জানাল এক ঘন্টা ধরে এখানে রয়েছেন অথচ অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই।”
আরও পড়ুন: ‘ভ্যাকসিন নিয়ে চিঠির জবাব পাইনি’, শপথ নিয়েই মোদীকে লিখলেন মমতা
এদিকে এবিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসককে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “সকালে সিফটিং আওয়ার। সবাই এখনও এসে পৌঁছননি। তাই সমস্যা হচ্ছে।”