Jalpaiguri: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল সিভিক ভলেন্টিয়রের
Jalpaiguri: ধূপগুড়ি থানার অধীনে সিভিকের চাকরি পেয়েছিলেন। পরিবারে মা দু বোন এক ভাই সহ ৮ জন। সিভিকের চাকরি করে যা বেতন মিলত, তা দিয়ে সংসার চলছিল না, এমনটাই দাবি মৃতের ভাই অমৃত কুজুরের।
জলপাইগুড়ি: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল সিভিক ভলেন্টিয়রের। ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি ধূপগুড়িতে। বেতন হিসাবে যা চান, তাতে সংসার চলত না। তাই বাড়তি উপার্জনের আশায় পাড়ি দিয়েছিলেন ভিন্ন রাজ্যে। উপার্জন করে আর বাড়ি ফেরা হল না। বাড়ি ফিরলো কফিনবন্দি দেহ সিভিকের। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার, শোকের ছায়া এলাকা জুড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের সিভিক সুরেন্দ্র কজুর (৩৫)। তিনি ধূপগুড়ি ব্লকের লক্ষীকান্ত চা বাগানের চার্চ লাইনের বাসিন্দা।
ধূপগুড়ি থানার অধীনে সিভিকের চাকরি পেয়েছিলেন। পরিবারে মা দু বোন এক ভাই সহ ৮ জন। সিভিকের চাকরি করে যা বেতন মিলত, তা দিয়ে সংসার চলছিল না, এমনটাই দাবি মৃতের ভাই অমৃত কুজুরের। কেরলে কাজে যাওয়ার আগে পরিবারকে জানিয়েছিলেন, যা বেতন পান তা দিয়ে তার সংসার চালান, তাতে মুশকিল হয়ে উঠেছে। তাই কেরল যেতে চান। ছ’মাস আগে পাড়ি দিয়েছিলেন কেরলে।
কেরলে এর্নাকুলাম শহরে মিস্ত্রির কাজে যোগ দিয়েছিলেন একটি সংস্থার অধীনে। যারা জল সরবরাহের কাজ করে এলাকায়। গত ১৫ তারিখ হঠাৎ পরিবারের কাছে ফোন আসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুরেন্দ্র কুজুরের। এই খবর শোনা মাত্রই হতবাক হয়ে যায় গোটা পরিবার। এত দূর থেকে পরিবারের লোক বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী ঘটনা ঘটেছে।
২৮ তারিখ পরিবারের সদস্যরা সেখানে পৌঁছন। পরিবারের দাবি, কী হয়েছিল সেভাবে কিছুই জানানো হয়নি সংস্থার তরফে। কেরল পৌঁছানোর পর কর্মস্থল এবং হাসপাতাল ঘোরাঘুরি করতেই কেটে যায় বেশ কয়েকদি। রবিবার মৃত দাদার দেহ কফিনবন্দি অবস্থায় নিয়ে বাড়ি ফেরেন অমৃত।