Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পেল্লাই রুই-কাতলা লুঠেই ব্যস্ত সকলে! পাশে ধুঁকতে ধুঁকতেই ‘লাশ’ হয়ে গেলেন জলজ্যান্ত মানুষটা…

বিকট শব্দে ছুটে যান স্থানীয়া। তাঁরা দেখতে পান রাস্তার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বড়ো বড় রুই, কাতলা! শুরু হয়ে যায় দেদার লুঠ। খবর পেয়ে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ-দমকলবাহিনী।

পেল্লাই রুই-কাতলা লুঠেই ব্যস্ত সকলে! পাশে ধুঁকতে ধুঁকতেই 'লাশ' হয়ে গেলেন জলজ্যান্ত মানুষটা...
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2021 | 1:54 PM

জলপাইগুড়ি: মাছ বোঝাই লরির সঙ্গে ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ। সেতুর রেলিং ভেঙে ছিটকে নীচে পড়ে লরি। নদী পাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মাছ! শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এসেছিলেন বটে। কিন্তু নাহ! গাড়ির নীচে ধুঁকতে থাকা ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে নয়, বরং সাড়ম্বরে হাসিমুখে মাছ লুঠতে! রক্তাক্ত ব্যক্তি জলের তলায় যখন গাড়ির নীচে আটকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিলেন, তখন লকডাউনের বাজারে লুঠ হওয়া মাছ বিক্রি হয়ে গিয়েছে মোট টাকার বিনিময়ে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার উত্তরোত্তর ছবিটা আরও করুণ।

জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছ বোঝাই লরিটি যাচ্ছিল অসমের উদ্দেশে। দীর্ঘ পথে হাইওয়ের ওপর গাড়ির গতি ছিল বেশিই। আহত লরি চালকের কথা অনুযায়ী, একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে বিপর্যয় ঘটে। উল্টোদিক থেকে আসা ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি হয়ে যান তিনি। আর তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে ঝুমুর নদীতে পড়ে যায় মাছ বোঝাই লরিটি। লরি নীচেই চাপা পড়ে যান খালাসি। চালক কোনওভাবে লাফিয়ে বেড়িয়ে এসেছিলেন।

বিকট শব্দ শুনে ছুটে গিয়েছিলেন স্থানীয়রা।  তাঁরা দেখতে পান নদীর ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে  পেল্লাই রুই, কাতলা! খালাসিকে উদ্ধার না করেই শুরু হয়ে যায় দেদার লুঠ। খবর পেয়ে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ-দমকলবাহিনী। পুলিশের সামনেই চলতে থাকে লুঠ! বস্তা ভরে মাছ হয়ে যেতে থাকে পাচার। খালাসি কিন্তু তখনও গাড়ির নীচেই জলের তলায় চাপা পড়ে থাকেন।

নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুন: হইচই কাণ্ড! বিজেপির গোপন অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! ফাঁস লিঙ্ক

ঘণ্টা দুয়েক জলের তলায় থাকেন খালাসি। যতক্ষণে উদ্ধার করা হয়, নিঃশ্বাস থেমে গিয়েছে তাঁর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চালককে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে মাছ-লুঠ বন্ধ হয়। ধূপগুড়ি থানার আইসির নির্দেশে মাছগুলোকে পিকআপ ভ্যানে সুপার মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেগুলিকে নিলামে বিক্রি করা হবে।