Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Lok Sabha Election: নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকতেই প্রকাশ্যে জেঠু-ভাইপোর গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব

Lok Sabha Election: নালিশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির নেতারা। উপস্থিত ছিলেন অধীর রায়, সহ-সভাপতি বুধারু রায় সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা।

Lok Sabha Election: নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকতেই প্রকাশ্যে জেঠু-ভাইপোর গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব
বাম দিকে অধীর রায়, ডান দিকে অমিত রায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2024 | 10:30 PM

জলপাইগুড়ি: ভোটের মুখে গোষ্ঠী দ্বন্দে জেরবার কেপিপি। একপক্ষের অভিযোগ, দলকে অন্ধকারে রেখে রাজ্য সরকারের পদ গ্রহণ করেছেন অতুল পুত্র অমিত রায়। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির (কেপিপি) কিছু নেতাদের। পাল্টা দিলেন অমিতও।

কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা এক সময়ের সভাপতি ছিলেন অতুল রায়। তাঁর মৃত্যুর পর দলের সভাপতি বলে নিজেকে দাবি করেন অতুল পুত্র অমিত রায়। এই নিয়ে দলের ভেতর মতবিরোধ থাকলেও সম্প্রতি অমিত রায় রাজ্য সরকারের দেওয়া কামতাপুর ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করেন। যা নিয়েও দলের অন্দরে বিতর্ক হয়েছিল। এরইমধ্যে আবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে তৃণমূলকে সমর্থন জানানোয় দ্বন্দ্ব বেড়েছে দলের অন্দেরেই। 

সম্প্রতি অনুগামীদের নিয়ে ময়নাগুড়িতে বৈঠকে বসেন প্রয়াত অতুল রায়ের দাদা তথা কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির নেতা অধীর রায়। তিনিও নিজেকে সভাপতি বলেই দাবি করেন। ভাইপোর এই সিদ্ধান্তের (প্রার্থী না দেওয়া) চরম বিরোধিতা করে কামতাপুর পিউপিলস পার্টি ইউনাইটেডের (নিখিল গোষ্ঠী) সঙ্গে জোট বেঁধে মানবেন্দ্র রায়কে জলপাইগুড়ি আসনে দলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করান। এই খবর পেয়ে নিজের জেঠু অধীর রায় সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির নাম ভাঙিয়ে অবৈধ ভাবে মনোনয়ন দাখিল করা হচ্ছে বলে কমিশনে নালিশ ঠোকেন অতুল রায়ের পুত্র অমিত রায়।

নালিশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির নেতারা। উপস্থিত ছিলেন অধীর রায়, সহ-সভাপতি বুধারু রায় সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা। 

এদিকে অমিত রায় জানিয়েছেন, তাঁরা শাসকদলের পাশে আছেন। তাই এবারের নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছেন না। যাঁরা সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে প্রার্থী দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে হাইকোর্টে যাওয়া হবে। একইসঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, যারা এখন ঘোঁট পাকাচ্ছেন তাদের আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই এরা দলের কেউ নয়। এখন বিজেপি সহ অন্য কোন দলের কাছ থেকে টাকা খেয়ে এইসব কাজ করছে। 

অন্য়দিকে অধীর রায় বলেন, অমিত কী বলছে তা আমি জানি না। তবে আমি দলের সভাপতি। দলের ২৭ জনের কেন্দ্রীয় কমিটি রয়েছে। তার মধ্যে ১৮ জন আমার সঙ্গে আছে। তাঁরাই আমাকে সভাপতি করেছে। আমরা  জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই তিন জেলায় প্রার্থী দিয়েছি। আমাদের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। অমিত রায় দল বিরোধী কাজ করছে। দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। প্রয়োজন হলে আমরা আদালতে যাব।

কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির সহ সভাপতি বুদারু রায় বলেন, আমাদের দল কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়। এই দল অতুল রায় তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তার ছেলে অমিত রায় কামতাপুর আন্দোলনের কিছুই জানে না। তিনি এখন আমাদের অন্ধকারে রেখে স্বঘোষিত সভাপতি হয়ে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের দলকে উঠিয়ে দিতে চাইছেন। এটা আমরা হতে দেব না। আমরা প্রার্থী দিয়েছি। লড়াই হবে। অমিত রায় যদি শাসকদলের হয়ে ভোট চাইতে যান তবে তিনি মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়বেন।