Jalpaiguri: বৃদ্ধকে ধাক্কা পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ির, মদ্যপ পুলিশকর্মীকে ধরল এলাকাবাসী
Accident: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালে ডিএম বাংলো সংলগ্ন বাঁধের রাস্তায় পুলিস স্টিকার লাগানো একটি গাড়ির ধাক্কায় আহত হন এক বৃদ্ধ।
জলপাইগুড়ি: রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধ। সে সময় পিছন দিক থেকে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি লাল রঙের গাড়ি। এর জেরে মাটিতে ছিটকে পড়েন ওই বৃদ্ধ। গুরুতর চোট পান তিনি। পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ির এই কাণ্ড দেখেই সেখানে ছুটে আসেন সেখানে উপস্থিত সকলে। বৃদ্ধকে তুলে তাঁরা নিয়ে যান হাসপাতালে। পাশাপাশি পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িকেও তাড়া করেন। বৃদ্ধকে ধাক্কা মারা গাড়িতে পাঁচ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে চার জন পালিয়ে গেলেও, এক জনকে ধরতে সমর্থ হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গাড়ির মধ্যে থাকা ব্যক্তিরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গাড়ির মধ্যে থাকা সকলেই খাঁকি রঙের প্যান্ট পরে ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালে ডিএম বাংলো সংলগ্ন বাঁধের রাস্তায় পুলিস স্টিকার লাগানো একটি গাড়ির ধাক্কায় আহত হন এক বৃদ্ধ। আহতের নাম দিলীপ দে (৭৯)। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা পঙ্কজ বর্মন নামে এক পুলিশকর্মীকে আটকে রাখতে সক্ষম হয়। এর পর থানায় খবর দিলে তাকে পুলিশ এসে নিয়ে যায়। ওই পুলিশকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি কোন থানায় কর্মরত তা না বললেও, পুলিশ বিভাগে চাকরি করার কথা স্বীকার করেছেন পঙ্কজ। তিনি বলেছন, “আমরা তিস্তা পাড়ে পার্টি করতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সঞ্জীব বাগচীর অভিযোগ, “বৃদ্ধকে ধাক্কা মারার সময় পুলিস স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে মোট পাঁচ জন ছিলেন। উনারা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। চারজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও একজনকে আমরা ধরি। তাঁকে কোতোয়ালি থানার পুলিস এসে নিয়ে গিয়েছে।” এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ সেন বলেছেন, “একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে সে ব্যাপারে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”