West Bengal Police: পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ, পুলিশ কর্তার ‘প্রয়াসে’ মুখে হাসি ১১ বেকার যুবকের

West Bengal Police: দক্ষ পুলিশ আধিকারিক হওয়ার দৌড়টা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। লিখিত পরীক্ষা দিয়ে সাফল্য লাভও করেছিলেন। কিন্তু এরপর ছিল পরীক্ষার শেষ ধাপ। পার্সোনালিটি টেস্ট। এতে সফল হলে তবেই মিলবে চাকরি।

West Bengal Police: পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ, পুলিশ কর্তার ‘প্রয়াসে’ মুখে হাসি ১১ বেকার যুবকের
খুশির হাওয়া সব মহলেImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2023 | 7:19 AM

জলপাইগুড়ি: পুলিশ (Police) হওয়ার স্বপ্ন সেই ছোট থেকে। খাঁকি উর্দি গায়ে দিয়ে সমাজ বদলের ভাবনা মনের কোণে বাসা বেঁধে ছিল ছেলেবেলাতেই। শেষে পুলিশ সুপারের মানবিক উদ্যোগে মুখে হাসি ফুটল ১১ জন বেকার যুবকের। পুলিশের কাছ থেকে গ্রুমিং করে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরি পেয়ে গেলেন জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলার মোট ১১ জন যুবক। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারাও। জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্তার প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ সদ্য চাকরি পাওয়া এই তরুণ যুবকের দল। 

দক্ষ পুলিশ আধিকারিক হওয়ার দৌড়টা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। লিখিত পরীক্ষা দিয়ে সাফল্য লাভও করেছিলেন। কিন্তু এরপর ছিল পরীক্ষার শেষ ধাপ। পার্সোনালিটি টেস্ট। এতে সফল হলে তবেই মিলবে চাকরি। তাই এই চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় কিভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন সকলেই। এই চিন্তাতেই কাটছিল দিন। শুরু হয় খোঁজ-খবর। জলপাইগুড়ির এক পরীক্ষার্থী জেলা পুলিশের ওয়েবসাইটে সার্চ করে পেয়ে যান পুলিশ সুপারের ফোন নম্বর। এরপর তিনি ওই নম্বরে মেসেজ করেন। কীভাবে তাঁরা প্রস্তুতি নেবেন সেই বিষয়ে সাহায্যের কথা বলেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে এক পুলিশ আধিকারিক ওই যুবককে ফোন করে সবার বায়োডাটা চান। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়েও দেন।  

যুবকদের জুড়ে দেওয়া হয় ‘প্রয়াস’ নামের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের সঙ্গে। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে রয়েছেন জেলা পুলিশের একাধিক দক্ষ আধিকারিক। তাঁদের টিমের সাহায্যেই শুরু হয় যুবকদের প্রশিক্ষণ। চলে কয়েক দফার মক টেস্ট। টানা চলে প্রস্তুতি। দূর হয় ভয়। প্রশিক্ষণ নেন মোট ১৮ জন যুবক। এরপর তাঁরা বসেন চূড়ান্ত পরীক্ষায়। তাতেই ১৮ জনের মধ্যে ১১ জন চাকরি পেয়ে যান। কাজে যোগ দিতে যাওয়ার আগে তাঁদের জন্য শনিবার জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনে পুলিশ সুপারের উদ্যোগ একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত সকলেই। পুলিশ সুপারকেও আলাদা করে সন্মান জানান তাঁরা।

সদ্য চাকরি প্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর সৌনিক দাস জানান, তিনিই জেলা পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে পুলিশ সুপারের ফোন নম্বর নিয়ে মেসেজ করেছিলেন। এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ডি এস পি বিক্রমজিৎ লামা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সকলের বায়োডাটা পাঠাতে বলেন। তারাও সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেন। এরপর কয়েক দফায় তাঁদের মক টেস্ট হয়। এই মক টেস্ট বাইরে থেকে দিতে গেলে তাঁদের অনেক টাকা খরচ হয়ে যেত। যা তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই গোটা বিষয়টির জন্য পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনিও। খুশি পুলিশ সুপারও। তিনি বলছেন, “খুব কম সময়ে এটা একটা বড় সাফল্য। আগামীতে আমরা এই জাতীয় উদ্যোগ চালু রাখব। যাঁরা টাকার অভাবে এই জাতীয় ট্রেনিং নিতে পারেন না, তাঁদের পাশে আমরা থাকব।”