North Bengal Travel: পা পড়ছে না মানুষের, পুজোয় ডুয়ার্সের এ কী হাল!
North Bengal Travel: কার্যত ফাঁকা পড়ে রয়েছে ডুয়ার্সের সমস্ত রিসর্ট, হোটেল। জনমানবহীন হয়ে পড়ে রয়েছে চাপরামারি লাটাগুড়ির নানা প্রান্ত। হোটেলের মালিকরা জানাচ্ছেন এদিকে অন্যান্যবার সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে ডুয়ার্সে।
জলপাইগুড়ি: যেন ফের হয়েছে লকডাউন। তাতেই যেন পুজোর ভরা মরসুমে বিষাদের ছায়া ডুয়ার্সে। পুজোর সময় যেখানে মানুষের কলরবে গমগম করে ডুয়ার্সের জঙ্গল, সেখানে যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা নেই মানুষের। তাতেই ভেঙে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে মানুষেরা, হোটেল ব্যবসায়ী থেকে ট্রাভেল এজেন্টরা। একরাতে সিকিমের হড়পা বান যেন পুজোর উন্মাদনায় নিমেষে জল ঢেলে দিয়েছে। তছনছ হয়ে গিয়েছে সিকিম থেকে উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্ত। জোরকদমে চলেছে মেরামতির কাজ। কিন্তু, এখনও কাটছে না উদ্বেগ। একপ্রকার ভয়েই আর উত্তরবঙ্গমুখী হতে চাইছেন না পর্যটকেরা।
কার্যত ফাঁকা পড়ে রয়েছে ডুয়ার্সের সমস্ত রিসর্ট, হোটেল। জনমানবহীন হয়ে পড়ে রয়েছে চাপরামারি, লাটাগুড়ির নানা প্রান্ত। হোটেলের মালিকরা জানাচ্ছেন এদিকে অন্যান্যবার সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে ডুয়ার্সে। শুরু হয়ে যায় জঙ্গল সাফারি। হোটেল, রিসর্টগুলিতে মানুষের তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এবারেও ছবিটা একই হতে পারত। কিন্তু, হোটেল মালিকরা বলছেন হড়পা বানের পর থেকেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে বুকিং। ভরসা দিয়েও হচ্ছে না কোনও লাভ। দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকেরা করছেন বুকিং বাতিল। ফেরত চাইছেন আগাম দেওয়া টাকা। তাতেই মাথায় হাত পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের।
টিকিট কেটে যে সমস্ত জায়গায় পর্যটকেরা জিপ সাফারি করেন সেগুলিও থমকে গিয়েছে। বন্ধ বন দফতরের টিকিট কাউন্টার। ফলে খানিকটা হলেও পুজোর মুখে মনে বিষাদের মেঘ জমেছে জিপসি ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে। সাংবাদমাধ্যমের হাত ধরে তাঁরা শুধু এখন একটাই কথা বলতে চাইছেন পর্যটকের, বলতে চাইছেন, সিকিম বিপর্যের পর ভালই আছে ডুয়ার্স, ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ভ্রমণেও কোনও ভয় নেই। তাই উদ্বেগ কাটিয়ে জঙ্গল সাফারি মেতে উঠুক সকলে।