Sikkim Flood: তিস্তায় ভেসে আসা মর্টার শেল জমা দিলে গ্রেফতারি নয়, আশ্বাস সাংসদের
Sikkim Flood: বাড়িতে মজুত করা মর্টার শেল জমা দিলে, পাছে পুলিশ গ্রেফতার করে, এই ভয়ে অনেকেই শেল গুলি জমা দিতে চাইছেন না বলে পুলিশ প্রশাসনের ধারণা। এবার সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ।
জলপাইগুড়ি: তিস্তায় ভেসে আসা বিস্ফোরক জমা দিলে পুলিশ মামলা রুজু করবে না। আশ্বস্ত করলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়। সিকিমের বিপর্যয়ে ভেসে গিয়েছে সেনা ছাউনি। সেনার বহু অস্ত্রসস্ত্র ভেসে এসেছে। সেই সব অস্ত্র, শেল সাধারণ মানুষের হাতে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই মর্টার শেল কুড়িয়ে বাড়িয়ে নিয়ে এসে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। সেনার ধারণা, এরকম অনেক সাধারণ মানুষের হাতেই এই ধরনের শেল, অস্ত্র চলে গিয়েছে। কিন্তু তা এখনও প্রশাসনের কাছে জমা পড়েনি। বাড়িতে মজুত করা মর্টার শেল জমা দিলে, পাছে পুলিশ গ্রেফতার করে, এই ভয়ে অনেকেই শেল গুলি জমা দিতে চাইছেন না বলে পুলিশ প্রশাসনের ধারণা। এবার সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ।
সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার বন্যায় ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর পরিমাণে মর্টার শেল-সহ অন্যান্য গোলা বারুদ। নদীর জল কমতেই সেগুলি ভেসে উঠছে। তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা অনেকেই সেগুলিকে কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। তেমনই এক মর্টার শেল বিস্ফোরণ করে বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের ওই শিশুর মৃত্যু হয়।আহত হয়েছেন আরও ছ’জন।
সেখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে, উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলগুলি জমা দিলে পুলিশ তাঁদের বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার করতে পারে। এমন ভয়ে সেগুলির তথ্য পুলিশকে দিতে চাইছেন না। সাংসদ চিকিৎসক জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, “বন্যার জলে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর বিস্ফোরক। যেগুলি তিস্তা পাড় থেকে উদ্ধার করে অনেকেই বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। সেগুলির মধ্যে কিছু উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে সেনা। বিস্ফোরকগুলি পুলিশকে দিলে মামলা রুজু করবে না। আমি পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে আস্বস্ত করেছে এই মামলা রুজু করা হবেনা।”