Dhupguri: মাঝরাতে ঘরে ঢুকলেন ২ মহিলা, যুবকের সঙ্গে এমন কাণ্ডে তাজ্জব পাড়ার লোকেরা
Dhupguri: পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৩টে নাগাদ ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ আসে মেহতাব আলম নামে এক যুবকের বাড়িতে চারজন হামলা চালায়। পুলিশ গিয়ে বাড়ির মেঝেয় মেহতাবের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে।
ধূপগুড়ি: যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। নিহতের নাম মেহতাব আলম (৩৮)। তাঁর স্ত্রীরও আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি জমি নিয়ে ঝামেলার অভিযোগ সামনে এসেছে। মূল অভিযুক্ত আফতাব হোসেন-সহ ৬ জনকে আটক করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। অভিযোগ, ভাড়াটে খুনি এসে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারা হয়েছে মেহতাবকে। এই ঘটনায় ভিন রাজ্যের দুই কিশোরীর যোগসূত্রও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। আটক ৬ জনের মধ্যে তাঁরাও আছেন। তবে তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে। সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আংরাভাসার বাসিন্দা মেহতাব আলমের ভাগ্নে আফতাব হোসেন। আফতাবের সঙ্গে বিহারের একটি জমি নিয়ে মেহতাবের দীর্ঘদিনের একটা ঝামেলা চলছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আফতাব কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকতেন। অভিযোগ, সেখান থেকেই নিজের পরিচিত কয়েকজনকে সঙ্গে এনে মেহতাবকে কুপিয়ে মারা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৩টে নাগাদ ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ আসে মেহতাব আলম নামে এক যুবকের বাড়িতে চারজন হামলা চালায়। পুলিশ গিয়ে বাড়ির মেঝেয় মেহতাবের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে। শরীরে একাধিক কোপানোর দাগ ছিল। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেহতাবের আদি বাড়ি বিহারে। তবে ছোট থেকেই তিনি আংরাভাসায় থাকেন। জীবন বিমা সংস্থার এজেন্ট তিনি। একইসঙ্গে একটি পানের দোকান চালান তিনি।
এদিনের ঘটনায় এক মহিলাও আহত হন। তাঁকে প্রথমে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ, ডিএসপি ক্রাইম। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডেওয়াল বলেন, পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ৬ জনকে আটক করেছে। এরমধ্যে ২ জন মহিলাও আছেন। সকলেই বিহারের বাসিন্দা। দীর্ঘদিনের একটি জমিবিবাদকে সামনে রেখে এই ঘটনা বলে প্রাথমিত তদন্তে উঠে এসেছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।