Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘যা করেছে ঠিক করেছে’, বলছে বিরোধীরা, রাজীব কুমারের ‘চারটে গুলি’র টনিকেই হল কাজ!

Rajiv Kumar: শনিবার সকালে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত সাজ্জাক আলম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পালানোর সময় পুলিশকে গুলি করে সাজ্জাক। এরপরই পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ।

'যা করেছে ঠিক করেছে', বলছে বিরোধীরা, রাজীব কুমারের 'চারটে গুলি'র টনিকেই হল কাজ!
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2025 | 10:38 AM

কলকাতা: পাঞ্জিপাড়া কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত নিহত পুলিশের এনকাউন্টারে। সাত সকালে বাংলাদেশে পালানোর সময় তাঁকে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাজ্জাক আলম। তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, পালানোর সময় সাজ্জাক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। তারই জবাব দিতে গিয়ে পুলিশ গুলি চালায়। ডিজি রাজীব কুমার বার্তা দিয়েছিলেন আগেই। এবার পুলিশের ‘অ্যাকশন’কে স্বাগত জানাচ্ছে বিরোধীরাও।

গত বুধবার উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আসামি সাজ্জাক আলম। গুলিতে আহত হন দুই পুলিশকর্মী। উত্তরবঙ্গের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ওই ঘটনার পরই পাঞ্জিপাড়ায় যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা একটা ভাল জবাব দেব। আমাদের একটা গুলি চালালে, আমরা চারটে গুলি চালাব।” পুলিশের মনোবল বাড়াতেই ওই বার্তা দেন তিনি। আর সেই বার্তা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এনকাউন্টারে নিহত সাজ্জাক।

বিরোধীরাও পুলিশের এই ভূমিকাকে স্বাগত জানাচ্ছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “গুলি চালালে গুলি খেতে হবে। সব ক্ষেত্রেই যেন এটা হয়। পুলিশ যা করেছে ঠিক করেছে। পুলিশ গুলি খাবে, আর তারপরও বসে বসে দেখবে, সেটা হয় না।”

প্রাক্তন পুলিশকর্তারাও পুলিশের এই এনকাউন্টারকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রাক্তন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সত্যজিৎ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, “বাংলাদেশে পালিয়ে গেলে আর ধরতে পারত না পুলিশ। এনকাউন্টার আমরা সমর্থন করি না। তবে এ ক্ষেত্রে পালিয়ে গেলে আর পাওয়া যেত না, তাই পুলিশ ঠিকই করেছে।”

তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশকে নানাভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পুলিশকে সরাসরি গুলি করা হয়েছে। ফলে, পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা না নিলের সমাজের কাছে খারাপ বার্তা যেত।

প্রাক্তন পুলিশকর্তা অরিন্দম আচার্যও স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, পুলিশকে কেউ মারতে চাইলে, পুলিশ কখনও এসপি-র অর্ডারের জন্য অপেক্ষা করে না। আসামি গুলি করছে, এটা মানা যায় না। তবে তিনি বলেন, “ডিজি বলার পর যদি পুলিশের মনোবল ফিরে আসে, তাহলে স্বাগত জানাই।”