Dhupguri: মাঝরাতে জানালা টপকে বেরিয়ে এলো ঘরের বউ, দরজা খুললে যদি…
Dhupguri: বনবিভাগ ক্ষতিপূরণ দিক, চান গীতামণিরা। যা ছিল সবই গেল। ১০ মিনিটের মধ্যে সব শেষ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বনদফতর থেকে ক্ষতিপূরণ না দিলে বনদফতরের অফিসে ক্যাম্প করে বসে থাকবেন। বনদফতর সূত্রে খবর, চারদিকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতি। সব জায়গায় কর্মীরা পৌঁছতেও পারছেন না। তবে সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের আবেদন এলে তার ব্যবস্থা করা হবে।
ধূপগুড়ি: দলছুট বুনো হাতির দাপাদাপিতে ওষ্ঠাগত বানারহাটের বাসিন্দারা। চা-বলয়ে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে। দলছুট সেই হাতির আক্রমণে দু’টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। মাঝরাতে হাতির আওয়াজ পেয়ে বাইরে চোখ রাখতেই শিউরে ওঠেন বাড়ির গিন্নি। গলা শুকিয়ে আসে, চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এরপরই বাড়ির সকলকে ডেকে তুলে কোনওক্রমে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। তাতেই প্রাণে বেঁচেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাট ব্লকের ডায়না চা বাগানে।
বুধবার রাত তখন প্রায় ২টো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাতির একটি দল বেশ কয়েকদিন ধরেই ডায়না জঙ্গলের কাছে রয়েছে। ওখানেই থাকছে তারা। প্রতিদিন রাত হলেই নাকি নিশিভ্রমণে বেরোয় তারা। চা বলয়ে ঘুরে বেড়ায়। খাবারের খোঁজেই আসে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান। তবে তাদের সেই খাবার খোঁজার জেরে প্রাণভোমরা উড়ে যাওয়ার জোগাড় হয় এলাকাবাসীর।
বুধবার রাতেও বেরিয়েছিল তারা। সেই সময়ই একটি হাতি কোনওভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সেই দল থেকে। চা বাগানের নিচের লাইনে ঢুকে পড়ে সে। সেখানেই বাড়ি পিটার ওরাওঁয়ের। তাঁরই রান্নাঘরে হামলা চালায়। এরপর গীতামণি ওরাওঁয়ের বাড়িতে গিয়ে ভেঙে দেয় তা।
গীতামণি জানান, “রাতে হাতির আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি বাড়ির সামনে হাজির। দরজা খুললে যদি তাড়া করে। ঘরের জানলা দিয়েই বেরিয়ে আসি। তাই প্রাণে বেঁচেছি। তবে দেওয়ালটা একেবারে ভেঙে দিয়েছে।” দেওয়ার ভাঙার পাশাপাশি ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র, খাবারও নষ্ট করে দেয় বলে জানান তিনি।
বনবিভাগ ক্ষতিপূরণ দিক, চান গীতামণিরা। যা ছিল সবই গেল। ১০ মিনিটের মধ্যে সব শেষ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বনদফতর থেকে ক্ষতিপূরণ না দিলে বনদফতরের অফিসে ক্যাম্প করে বসে থাকবেন। বনদফতর সূত্রে খবর, চারদিকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতি। সব জায়গায় কর্মীরা পৌঁছতেও পারছেন না। তবে সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের আবেদন এলে তার ব্যবস্থা করা হবে।