Dhupguri: মাঝরাতে বিকট শব্দ বাড়ির সামনে, ঘরের আলো নেভাতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়, পিছন দরজা দিয়ে ছুটলেন কর্তা…
Dhupguri: প্রত্যেকদিনের মতই রাতের খাবার খেয়ে শুয়েছিলেন হরিমন্দির এলাকার নারায়ণ দাস ও তাঁর পরিবার। তখন সবে ঘুম গাঢ় হয়েছে। হঠাৎই বীভৎস একটা শব্দ হয়।
জলপাইগুড়ি: গভীর রাতে সকলে ঘরের ভিতর দরজা এঁটে ঘুম দিচ্ছেন। হঠাৎই বিকট শব্দে কেঁপে উঠল গোটা বাড়িটাই। আতঙ্কে দরজা খুলে বেরোতে যান বাড়ির কর্তা। তাঁর ছেলে আটকে দেন। ভয় ছিল, যদি বাইরে বড় কোনও বিপদ ওৎ পেতে থাকে। এরপরই ঘরের সমস্ত আলো নিভিয়ে দেন ধূপগুড়ির হরিমন্দির এলাকার নারায়ণ দাস। এরপরই দেখেন বারান্দার বাইরে আলো। সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন, গেট ভেঙে একটি চার চাকার গাড়ি ঢুকে পড়েছে। সামনে বারান্দা থাকায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা। তবে ক্ষতি হয়েছে ঘরের দেওয়াল, বারান্দার।
প্রত্যেকদিনের মতই রাতের খাবার খেয়ে শুয়েছিলেন হরিমন্দির এলাকার নারায়ণ দাস ও তাঁর পরিবার। তখন সবে ঘুম গাঢ় হয়েছে। হঠাৎই বীভৎস একটা শব্দ হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, প্রথমে এই শব্দে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে এসে দেখেন একটি গাড়ি গেট ভেঙে বাড়ির ভিতর ঢুকে গিয়েছে। গাড়িতে তিনজন ছিলেন। সকলেই আহত হন।
বাড়ির কর্তা নারায়ণ দাস বলেন, “রাত ১টা ১০ নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। প্রচুর জোরে শব্দ পাই। উঠব, তখন ছেলে বলছে যেও না বাবা। কী আছে কে জানে। ঘরের আলোও পুরো বন্ধ করে দিই। সে সময় দেখি বাইরে আলো। তখন সন্দেহ হয় আমার। দরজা খুলতেই দেখি গেট ভেঙে গাড়ি ঢুকে পড়েছে ভিতরে। আমরা সামনে দিয়ে বেরোতে পারিনি। পরে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে দেখি এই অবস্থা। তিনজন লোক। রাস্তা থেকে নেমে বাড়ির ভিতর ঢুকে গেছে গাড়িটা।” নারায়ণ দাস বলেন, দিনেরবেলা এরকম ঘটনা ঘটলে বড় বিপদ হতে পারত। গাড়িটি কুমারগ্রাম থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন তাঁরা। একইসঙ্গে তাঁদের অনুমান, গাড়ির গতি এতটাই বেশি ছিল যে তা নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে এই ঘটনা।