Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘কান ধরে দিলীপ ঘোষকে বের করে দেওয়া উচিত,’ বিস্ফোরক সেলিম

"বিজেপি (BJP) এবং তৃণমূল (TMC) উভয় দলই ঘুষখোর, দুর্নীতি, তোলাবাজি এবং সমাজবিরোধী কার্যকলাপ করে বেড়াচ্ছে। 'খেলা হবে, খেলা হবে' বলে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে।''

'কান ধরে দিলীপ ঘোষকে বের করে দেওয়া উচিত,' বিস্ফোরক সেলিম
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 13, 2021 | 8:31 PM

বানারহাট: নির্বাচন কমিশনের উচিত উসকানিমূলক মন্তব্যের জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কান ধরে নির্বাচনী প্রচার থেকে বের করে দেওয়া। মঙ্গলবার ধূপগুড়ি ও নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থনে সভা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন মহম্মদ সেলিম (Md. Salim)।

সিপিএম (CPIM) পলিটব্যুরো সদস্যের কথায়, “দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু-সহ বিজেপি নেতারা উসকানিমূলক মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন। যার কারণেই হিংসা ছড়াচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আর তা বন্ধের জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিত কান ধরে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বের করে তার প্রচার বন্ধ করে দেওয়া।”

প্রসঙ্গত, শীতলকুচিকাণ্ডে মন্তব্যের জেরে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে দিলীপবাবুর জবাব তলব করেছে।

এদিকে সেলিমকে কথায়, “বিজেপি (BJP) এবং তৃণমূল (TMC) উভয় দলই ঘুষখোর, দুর্নীতি, তোলাবাজি এবং সমাজবিরোধী কার্যকলাপ করে বেড়াচ্ছে। ‘খেলা হবে, খেলা হবে’ বলে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে।” নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “বিজেপি যেই ৫৬ ইঞ্চি সিনার গল্প শোনাত, তারা প্রতিশ্রুতি মত কোনও কাজই করেনি।

সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ আরও যোগ করেন, কারও হুমকির কাছে ভয় না পেয়ে এবার ঘুরে দাঁড়ান। এদিন সেলিমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায় এবং নাগরাকাটার সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুখবীর সুব্বা।

আরও পড়ুন: বিতর্ক সেই শীতলকুচি নিয়েই! এবার দিলীপ ঘোষকে শোকজ নোটিস কমিশনের

সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেলিম বলেন, “বিজেপি-তৃণমূল মানেই বন্ধ হওয়া। খোলা নয়। বন্ধ চা বাগান ও কারখানা প্রসঙ্গে সেলিমের দাবি, ২০১৬ এবং ২০১৯ এর নির্বাচনে বলা হয়েছিল কারখানা খোলা হবে। কিন্তু মানুষকে লড়াই করে নিজের অধিকার আদায় করতে হবে।” সেই অধিকার আদায় করতেই সংযুক্ত মোর্চা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বন্ধ চা বাগান খোলা, চা শ্রমিকের মজুরি, ১০০ দিনের কাজের মজুরি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।