Jalpaiguri: টাকা নেই, মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরাই দায় হচ্ছিল পরিবারের; বিডিওর হস্তক্ষেপে মিলল পথ
Jalpaiguri News: জলপাইগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি বার্নিশ পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারের বেশি পথ। এতটা রাস্তায় শববাহী গাড়ি ভাড়া করতে গেলে প্রচুর টাকার ধাক্কা।
জলপাইগুড়ি: আবারও টাকার অভাবে মৃতদেহ আনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছিল পরিবারকে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল (Jalpaiguri Medical) কলেজের ফেসিলিটি বিভাগে বিষয়টি জানানোর পর বিডিওর হস্তক্ষেপে মিটল সমস্যা। কিছুদিন আগেই টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে মায়ের দেহ ঘাড়ে করে নিয়ে আসেন ছেলে। তখনও মানুষের কাছে স্পষ্ট ছিল না মেডিক্যাল কলেজের ফেসিলিটি বিভাগের কী ভূমিকা। তবে এখন সচেতন হয়েছেন। ময়নাগুড়ির প্রত্যন্ত এলাকার পরিবারও এদিন তার সুফল পেলেন। শববাহী গাড়ি ও সমব্যথী প্রকল্প নিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ময়নাগুড়ির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ময়নাগুড়ি বার্নিশ পঞ্চায়েতের বাসিন্দা উজ্জেশ্বরী রায় (৬০)। সোমবার ভোরে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জলপাইগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি বার্নিশ পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারের বেশি পথ। এতটা রাস্তায় শববাহী গাড়ি ভাড়া করতে গেলে প্রচুর টাকার ধাক্কা। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের ফেসিলিটি বিভাগে। এরপর ফেসিলিটি বিভাগের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ির বিডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ঘটনা জানতে পেরে বিডিও তড়িঘড়ি শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন। একইসঙ্গে দফতরের কর্মীদের নির্দেশ দেন শেষকৃত্যের জন্য সমব্যাথী প্রকল্পের ২ হাজার টাকা ওই পরিবারের হাতে পৌঁছে দিতে। নিহতের পরিবারের আত্মীয়রা জানান, সমব্যথী প্রকল্পের ২ হাজার টাকা পাওয়ায় সুবিধা হল।
এ বিষয়ে বিডিও শুভ্র নন্দী জানান, “আজ সকালে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বিভাগ থেকে আমার কাছে খবর আসে টাকার অভাবে ময়নাগুড়ির এক পরিবার মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসতে পারছে না। আমি তৎক্ষণাৎ ব্লকের নিজস্ব ফান্ড ব্যবহার করে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করি। একইসঙ্গে সমব্যথী প্রকল্পের ২ হাজার টাকা ওই পরিবারের হাতে পৌঁছে দেই। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলব, কেউ এরকম সমস্যায় পড়লে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুক। সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিয়ে আমরা পাশে দাঁড়াব।”