Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Leopard: কুতকুতে চোখ, থরথর করে কাঁপছে দু’জনই… খবর পেয়েই ছুটে এলেন বাইক অ্যাম্বুল্যান্স দাদা করিমুল হক

Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের ধলাবাড়ি গ্রামের পাশেই রয়েছে একটি কবরস্থান। শুক্রবার দুপুরে সেখানে কয়েকজন এলাকাবাসী ঘাস কাটতে যান।

Leopard: কুতকুতে চোখ, থরথর করে কাঁপছে দু'জনই... খবর পেয়েই ছুটে এলেন বাইক অ্যাম্বুল্যান্স দাদা করিমুল হক
পদ্মশ্রী করিমুল হক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2022 | 10:59 PM

জলপাইগুড়ি: চিতাবাঘের আতঙ্ক ঘিরে হইচই জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের চা বলয়ে। খবর দেওয়া হয় ‘বাইক অ্যাম্বুল্যান্স দাদা’ পদ্মশ্রী করিমুল হককে। তিনি এসে দেখেন, একেবারে চিতাবাঘের ছানার মতোই দু’টো বাচ্চা ঝোঁপের ভিতর শুয়ে। তিনি জানান, যেহেতু এখনও চোখ ফোটেনি, তাই চিতাবাঘের ছানা নিশ্চিত করে তিনি বলতে পারছেন না। তবে দেখতে হুবহু চিতাবাঘের মতোই বলে জানান তিনি।

জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের ধলাবাড়ি গ্রামের পাশেই রয়েছে একটি কবরস্থান। শুক্রবার দুপুরে সেখানে কয়েকজন এলাকাবাসী ঘাস কাটতে যান। গিয়ে দেখেন, চিতাবাঘের বাচ্চার মতো দেখতে দু’টি ছোট ছানা কাঁপছে। চোখও ফোটেনি এখনও। কাঁপছে দেখে একজন দুধ খাওয়াতে চেষ্টা করেছিলেন। পাল্টা ওই ছানা লাফ মেরে পড়ে।

এই ঘটনায় থতমত খেয়ে যান ওই ব্যক্তি। এরপরই সকলে মিলে ছুটে যান করিমুল হকের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন তিনি। ঝোঁপের কাছে গিয়ে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করেন ওই দুই ছানাকে। তিনি কার্যত নিশ্চিত এটা চিতাবাঘেরই ছানা। এরপরই সকলকে সরিয়ে বনদফতরে খবর দেন তিনি।

পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, “আসলে এলাকায় চিতাবাঘ বের হয়। আমার বাড়ি থেকেও ছাগল নিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকবার। আজ জঙ্গলে ঘাস কাটতে এসে কয়েকজন দেখে একটা কবরস্থানের ধারে একটা চিতাবাঘের বাচ্চা। চোখগুলো এখনও ঠিকভাবে ফোটেনি। আমাদের মনে হয় এই এলাকায় খাঁচা পাতলে ভাল হয়। কারণ এখানে প্রচুর বাঘের উপদ্রব আছে। আসলে এই এলাকা যেহেতু চা বলয়ে, তাই চিতাবাঘের দাপটও বেশি। আমরা দিনের বেলা ঘোরাঘুরি করে পাহারা দিয়েছি। যাতে কারও ক্ষতি না হয়। হয়ত মা এসে নিয়ে যাবে। আমাকে ডাকল, আমি এলাম।”

leopard

এই ঘটনায় বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের কাঠামবাড়ির রেঞ্জ অফিসার মহম্মদ রশিদ বলেন, “খবরটি আমি জানতে পেরেছি। কিন্তু ওখান থেকে ছানাদের আনা যাবে না। ওর মা এসে ছানাদের নিয়ে যাবে। তবে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাই আমরা নিচ্ছি।”