Pre Wedding Shoot: পার্কের ভিতর প্রিওয়েডিং শুট?’; এসব চলবে না’, গণস্বাক্ষর সংগ্রহে নামল পড়ুয়ারা

Jalpaiguri: উদ্যান ও কানন শাখার ডিএফও অঞ্জন গুহ আগেই জানিয়েছিলেন, সরকারি কোষাগারে এমনিই টানাটানি। বনদফতর উত্তরবঙ্গের চারটি পার্ককে প্রাথমিকভাবে বিয়েবাড়ি-সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিয়েছে। 

Pre Wedding Shoot: পার্কের ভিতর প্রিওয়েডিং শুট?'; এসব চলবে না', গণস্বাক্ষর সংগ্রহে নামল পড়ুয়ারা
চলছে সই সংগ্রহ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 7:50 AM

জলপাইগুড়ি: শিশু উদ্যানে শর্তসাপেক্ষে বিয়েবাড়ি ভাড়া। সরকারি এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর (Mass Petition) সংগ্রহ করল পড়ুয়ারা। তাদের সংগ্রহ করা স্বাক্ষর পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। জলপাইগুড়ির পরিবেশ ও উদ্যান বাঁচাও মঞ্চের সদস্যদের এই উদ্যোগে শামিল হল শহরের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রী। সরকারি যে সব উদ্যান বা পার্ক রয়েছে সেগুলিকে শর্তসাপেক্ষে সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের বনদফতর। সেক্ষেত্রে প্রি ওয়েডিং শুট থেকে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান, জন্মদিন উদযাপন থেকে ওপেন এয়ার কনফারেন্স সমস্ত কিছুই করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত ফি দিলে শর্তসাপেক্ষে বনদফতরের অধীনে থাকা পার্কগুলিতে সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে। আর এর জন্য পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি তিস্তা উদ্যান, মাল পার্ক, কোচবিহারে এনএন পার্ক ও বালুরঘাটের বালুরঘাট পার্ককে। গত ডিসেম্বার মাসেই জলপাইগুড়ি তিস্তা উদ্যানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই মর্মে বিবৃতি দিয়েছিলেন বন দফতরের উদ্যান ও কানন শাখার ডিএফও অঞ্জন গুহ। এই বিবৃতি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরই বেঁকে বসেন জলপাইগুড়ির বহু মানুষ। গড়ে ওঠে পরিবেশ ও উদ্যান বাঁচাও মঞ্চ। শুরু হয় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ। এবার সেই আন্দোলনে সামিল হল স্কুল পড়ুয়ারাও। জলপাইগুড়ি তিস্তা উদ্যানে জমায়েত হয়ে সেখানে আসা মানুষের কাছ থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ করল ছাত্রীরা। তাদের সংগৃহীত গণস্বাক্ষর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠবে মঞ্চের সদস্যরা।

উদ্যান ও কানন শাখার ডিএফও অঞ্জন গুহ আগেই জানিয়েছিলেন, সরকারি কোষাগারে এমনিই টানাটানি। রাজস্ব বাড়াতে তাই বনদফতর উত্তরবঙ্গের চারটি পার্ককে প্রাথমিকভাবে বিয়েবাড়ি-সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিয়েছে। স্কুল ছাত্রী রিয়া দাশগুপ্তের কথায়, “মাঠ তো হারিয়েই যাচ্ছে। এই পার্কে আমরা খেলতে আসি। এখানেও যদি থাবা বসানো হয় তা হলে তো আমাদের শৈশবের স্বাধীনতা বলে আর কিছু থাকবে না।” গঙ্গা রাউত নামে আরেক ছাত্রীর কথায়, “আমরা চাই সরকার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক। তাই আমরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করলাম।”

এ বিষয়ে পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন, “পার্কে বিয়ে বাড়ি-সহ এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান হলে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হবে। তাই এই প্রতিবাদ।” অবসরপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার মিহির কুমার রায়ের মত, উত্তরবঙ্গে এই প্রকল্প সফল হলে রাজ্যজুড়েই এই ছবি দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার।  জেলায় গণ আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবপ্রসাদ রায়েও একই মত। তিনি এখানে জোশীমঠের প্রসঙ্গও তুলে ধরে বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে গা জোয়ারির ফল যে ভাল হয় না তার জ্বলন্ত প্রমাণ তো চোখের সামনেই। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলাও হিমালয় থেকে খুব একটা দূরে নয়। এই শহরের সবুজ পরিবেশ দ্রুত নগরায়নের ফলে ইতিমধ্যে নষ্ট হতে বসেছে। শহরের মাঝে এই একটি মাত্র সবুজ জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। তাই আমরা কখনওই চাইব না সে পরিবেশ নষ্ট হোক।”