Jalapiguri : এবার কি গোয়েন্দা ডাকা হবে ? ২ বছর পর ‘নিখোঁজ’ ছাতার গুঁতোয় তোলপাড় স্কুল
Jalapiguri : সূত্রের খবর, ২ বছর আগে ছাতা খোয়া যায় জলপাইগুড়ি কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বনশ্রী ভৌমিকের। এই নিয়ে গত দু বছর তিনি কিছু বলেননি।
জলপাইগুড়ি: পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে ঘ। দুবছর আগে খোয়া গিয়েছিল ছাতা। দুবছর পর সেই প্রসঙ্গ ওঠায় রীতিমতো ধুন্ধুমার কাণ্ড জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) একটি গার্লস স্কুলে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এলেও মেটেনি সমস্যা। এরপর কি গোয়েন্দা আসবে? প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ অবিভাবকরা।
সূত্রের খবর, ২ বছর আগে ছাতা খোয়া যায় জলপাইগুড়ি কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বনশ্রী ভৌমিকের। এই নিয়ে গত দু’বছর তিনি কিছু বলেননি। অভিযোগ, চলতি মাসের ২ তারিখ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের কর্মী পম্পা ভৌমিককে ছাতা চোর বলে অপবাদ দেন তিনি। একঘর ছাত্রীদের সামনে চোর অপবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন পম্পা দেবী। এরপর স্কুলের সমস্ত অশিক্ষক কর্মীরা মিলে বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে যান। প্রতিবাদ জানান। প্রধান শিক্ষিকা রীতা রায় বিষয়টি স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিকে জানালে স্কুলে বৈঠক ডাকা হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। থানার পক্ষ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্টাফ কাউন্সিলে আলোচনা করে মেটানোর পরামর্শ দিলে সেই মতো মঙ্গলবার আবার স্কুলে বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে শিক্ষিকা বনশ্রী ভৌমিককে বলা হয় অভিযোগর সাপেক্ষে প্রমাণ দাখিল করতে অথবা ভুল স্বীকার করতে। ভুল স্বীকার করতে অস্বীকার করায় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। যা সামাল দিতে কোতোয়ালি থানা থেকে আসে পুলিশ। পুলিশ এসে বোঝালেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন দিদিমণি। বৈঠক কার্যত ফলপ্রসূ হয়নি।
গ্রুপ ডি কর্মী পম্পা ভৌমিক বলেন, “দিদিমণি একটি মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। তাও আবার ক্লাসের ছাত্রীদের সামনে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর কাছে প্রমাণ চেয়েছিলাম। তিনি দিতে পারেননি। বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকাকে জানিয়েছি।” এই বিষয় নিয়ে শিক্ষিকা বনশ্রী ভৌমিককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রায় জানিয়েছেন, পুলিশের নির্দেশে স্টাফ কাউন্সিল মিটিং ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও সমাধান সূত্র না বের হওয়ায় বিষয়টি থানায় জানাবেন তিনি।