Jhargram: লক্ষ লক্ষ টাকার ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প, নজরদারির অভাবে ধুঁকছে
Jhargram: তবে এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে সাঁকরাইলের ভালকিশোল লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যয় 'মাটির সৃষ্টি প্রকল্প' । কেন্দ্রের ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা না পাওয়াতেই যে এমন বেহাল দশা, তা খোলাখুলি স্বীকার করেছেন সাঁকরাইলের বিডিও রোহন ঘোষ।
ঝাড়গ্রাম: পাথর খাদানে লাগাম টেনে তৈরি হয়েছিল ‘মাটির সৃষ্টি’। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ভালকিশোল গ্রামে এই প্রকল্প এখন বিশ বাঁও জলে । গ্রামীণ অর্থনীতিকে স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকারের জীবনমুখী প্রকল্প এই মাটির সৃষ্টি। রাজ্য সরকারের মতে, অনুর্বর জমিতে ফল ও ফুলের গাছ এবং পুকুর, যেমন কর্মসংস্থানের দিশা দেখাবে তেমনি তা হবে পরিবেশ বান্ধবও। জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বছর দুই আগে তা শুরু হয়েছিল বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী সমবায়ের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করলে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত হবে এমনই ছিল প্রত্যাশা।
তবে এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে সাঁকরাইলের ভালকিশোল লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যয় ‘মাটির সৃষ্টি প্রকল্প’ । কেন্দ্রের ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা না পাওয়াতেই যে এমন বেহাল দশা, তা খোলাখুলি স্বীকার করেছেন সাঁকরাইলের বিডিও রোহন ঘোষ। অন্যদিকে ভালকিশোল গ্রামের বিজেপি নেতা-কর্মীদের তোপ দেগে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব।
কমবেশি সাত একর জায়গা জুড়ে মাথা তুলে ছিল পিয়ারা-আম-ডালিম আর ড্রাগন ফলের চারাগাছ। গ্রামবাসীরাই বলছেন, নজরদারির অভাবে অধিকাংশ দামী গাছ এখন উধাও। মাঝেমধ্যে আবার হাতিও ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। হাতির পায়ের পিষে তছনছ হয় বাগান।
লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ী ও চাষিরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অযত্ন ও হাতির হানায় নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার সোলার পাম্প, লাইট। স্বভাবতই ভালকিশোল গ্রামের মাটির সৃষ্টিতে এখন যেন মড়ক। আর দ্রুত পদক্ষেপ না করলে ব্যর্থ হবে রাজ্য সরকারের যাবতীয় উদ্যোগ। বিডিও রোহন ঘোষ বলেন, “আমার এখানে পোস্টিং হওয়ার আগেই শুনেছিলাম, ওখানে মাটির সৃষ্টি প্রকল্প হয়েছিল। কিন্তু স্কিমটা মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। ওখানে চাষবাদ যাঁরা করতেন, তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেয়। জায়গাটা ফাঁকা পড়েছিল। ওখানে হতে পারে কোনও চুরি হয়েছে। তবে আমার কাছে এই সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য নেই। থানায় অভিযোগ করতে হবে। “