Malda Firing: ২৬ দিনে ৫ বার গুলি চলল মালদায়, মদ খাওয়া নিয়ে বচসার জেরে ব্যক্তিকে খুন
Malda: আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হল মালদহ মেডিকেল কলেজে। উল্লেখ্য, এর আগে মালদহে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর। তারপর আরও এক তৃণমূল কর্মীর উদ্দেশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মালদা: এত আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে আসছে মালদায়? ফের কিন্তু উস্কে দিল এই প্রশ্ন। কারণ, আবার শ্যুট আউট মালদায়। বৈষ্ণবনগর রাধানাথ টোলায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। আহত আরও এক। মদ খেতে গিয়ে কথা কাটাকাটি হতেই এই গুলি বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মালদহ মেডিকেল কলেজে। সেখানেই মৃত্যু হয় একজনের। আশঙ্কাজনক আরও এক।
উল্লেখ্য, এর আগে মালদহে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর। তারপর আরও এক তৃণমূল কর্মীর উদ্দেশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তির নাম প্রদীপ কর্মকার। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম নিরঞ্জন দাস। ঘটনাটি মালদার বৈষ্ণব নগর থানার বীরনগর এলাকার। নিরঞ্জনের পরিবারের দাবি, যারা গুলি চালিয়েছে তাঁরা সকলেই তৃণমূল কর্মী। নিরঞ্জনের মা বেহুলা দাস জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে নিমাই ঘোষ সক্রিয় ভাবে তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত। সে ও তাঁর সঙ্গীরা এলাকার ত্রাস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিরঞ্জন দোকান আছে ঘুগনি-মুড়ি-সিঙারার। মাঝে মাঝে গোপনে মদও বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এরপর মঙ্গলবার রাতে নিমাইরা জোর করে মদ সিঙারা চায়। টাকা না দিয়েই চলে যায় তারা। এই নিয়ে বচসা বাধে। অভিযোগ, প্রতিবাদ করতেই আক্রমণ করা হয় নিরঞ্জনকে। বাধা দিতে যায় প্রদীপ কর্মকার। এরপরেই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালায় নিমাই বলে দাবি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রদীপের। আশঙ্কাজনক নিরঞ্জন। ইতিমধ্যেই নিমাইকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের তল্লাশি চলছে। মালদা তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, “এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নেই। কেউ যদি অভিযুক্ত হয় দল ব্যবস্থা নেবে।”
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার শূন্যে একাধিক গুলি চালিয়ে ভলিবল টুর্নামেন্টের সূচনা অনুষ্ঠান হয়েছিল মালদহের মানিকচকে। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই নুরপুর এলাকায় ছড়িয়েছিল চাঞ্চল্য। জানা যায়, ক্লাবের ছেলেরাই ওইভাবে শূন্যে গুলি চালিয়েছে। মাঠে তখন উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। তার মধ্যে এভাবে গুলি চালানোয় ঘটে যেতে পারত বড়সড় বিপদ। এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। এর আগে তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার কয়েকদিন পরই মৃত্যু হয় আরও এক তৃণমূল কর্মীর। এই নিয়ে ২৬ দিনে পাঁচবার গুলি চলল মালদায়। পরপর এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন।