Malda Robbery: বড়দিনের সন্ধেয় পিস্তল হাতে দুঃসাহসিক ডাকাতি, ফের টার্গেট সোনার দোকান
Malda Robbery: ডাকাতদের কারও মাথায় ছিল হুডি, কারও মাথায় হেলমেট। মুখ মাস্কে ঢাকা। পিস্তল উঁচিয়ে সোনার দোকান থেকে সর্বস্ব লুঠে নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত দল। বেরনোর সময় পিস্তল উঁচিয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীদের ভয় দেখাতে থাকে। এরপর বাইকে চেপে পালানোর সময় এক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ।
মালদা: বড়দিনের সন্ধেয় দুঃসাহসিক ডাকাতি। এবারও টার্গেট সেই সোনার দোকান। মালদার চাঁচলে ভরা বাজারের মধ্যে এক সোনার দোকানে হানা দেয় ডাকাত দল। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, দুটি বাইকে চেপে মোট পাঁচ জনের একটি ডাকাত দল ঢুকেছিল এলাকায়। সঙ্গে ছিল পিস্তল। মোটর বাইক থামিয়ে সোজা ঢুকে যায় সোনার দোকানে। ডাকাতদের কারও মাথায় ছিল হুডি, কারও মাথায় হেলমেট। মুখ মাস্কে ঢাকা। পিস্তল উঁচিয়ে সোনার দোকান থেকে সর্বস্ব লুঠে নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত দল।
বেরনোর সময় পিস্তল উঁচিয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীদের ভয় দেখাতে থাকে। এরপর বাইকে চেপে পালানোর সময় এক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। কী পরিমাণ সম্পত্তি লুঠ হয়েছে, সেই টাকার অঙ্ক এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে আশপাশের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দোকানের ভিতরে যা ছিল, সব লুঠ করে নিয়েছে ডাকাত দল। দোকানের ভিতরের ভল্টও ভেঙে লুঠ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
বড়দিনের সন্ধেয় এদিন চাঁচল বাজার এলাকায় ভিড় ছিল যথেষ্ট। এরই মধ্যে হঠাৎ সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায়ট এলাকায় বেশ আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ডাকাত দল এক রাউন্ড গুলি চালাতেই এলাকা ছেড়ে যে যেদিকে পেরেছেন ছুটে পালিয়েছেন। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন আশপাশের দোকানদাররাও।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ জমেছে পুলিশ প্রশাসনের মনেও। পুলিশের কাছে ডাকাতির অভিযোগ জানানোর পরও, এলাকায় পুলিশ আসতে দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন কিছু ব্যবসায়ী। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তপ্ত চাঁচল বাজার এলাকা। এদিকে পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই, পুলিশের গাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। পুলিশকর্মীদের তাড়া করতে উদ্যত হন তাঁরা।