Malda: ‘বাংলায় শ্মশানও বিক্রি হয় জানতাম না’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হরিশচন্দ্রপুরে

Malda: জমি রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই শ্মশান রক্ষা কমিটিও তৈরি হয়েছে। দ্রুত বেদখল হয়ে যাওয়া জমি কমিটির হাতে ফিরিয়ে না দিলে বড় আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

Malda: ‘বাংলায় শ্মশানও বিক্রি হয় জানতাম না’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হরিশচন্দ্রপুরে
উঠছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 19, 2024 | 7:31 PM

মালদহ: চুরি হয়ে গিয়েছে আস্ত শ্মশান। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মালদহের হরিশচন্দ্রপুুরে। অভিযোগের তির এলাকার জমি মাফিয়াদের দিকে। ক্ষোভের ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ গিয়েছে লোকাল থানা থেকে শুরু করে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে। অভিযোগ জমা পড়েছে ভূমি সংস্কার দফতরের কাছেও।  কিন্তু, তারপরেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শ্মশানের জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে, প্রকাশ্য দিবালোকে ওই শ্মশান থেকে চল্লিশ লক্ষ টাকার মাটি পর্যন্ত কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সবটাই হচ্ছে জমি মাফিয়াদের হাত ধরেই।  

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যে শ্মশান রয়েছে তার বয়স প্রায় একশো বছরেরও বেশি। অভিযোগ, শতাব্দী প্রাচীন এই শ্মশানের মাটিই কেটে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। লুঠ হয়ে যাচ্ছে জমি। প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ জমা করেছেন এলাকার লোকজন। অভিযোগ, সব দেখে শুনেও নির্বিকার প্রশাসন। করা হচ্ছে না কোনও পদক্ষেপ।

ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেকর্ড বলছে এই জমি আদপে শ্মশান হিসাবেই ব্যবহৃত। কিন্তু অভিযোগ, এলাকার জমি মাফিয়ারা জমির রেকর্ড বদলে নিচ্ছেন। জমি রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই শ্মশান রক্ষা কমিটিও তৈরি হয়েছে। দ্রুত বেদখল হয়ে যাওয়া জমি কমিটির হাতে ফিরিয়ে না দিলে বড় আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। 

এলাকার বাসিন্দা রাজ কুমার সাহা বলেন, “কাউকে না জানিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা দিয়েছে। শ্মশান বিক্রি করার ক্ষমতা কারও নেই। তারপরেও এটা হচ্ছে। ভুয়ো দলিল দেখে যদি রেকর্ড হয়ে যায় তাহলে সেটা দেখার কাজ প্রশাসনের। শুনছি তো শ্মশান বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আমরা তো জানতাম শ্মশান কখনও বিক্রি হয় না। পশ্চিমবঙ্গে তো এখন দেখা যাচ্ছে তাও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কাগজে এখন কয়েকটা নতুন নাম দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে ওদের নামে জমি রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু জমির শ্রেণি শ্মশান হিসাবেই উল্লেখ রয়েছে। শ্মশান নিয়ে তো আর কেউ বিএলআরও অফিসে খোঁজ নেয় না সাধারণ। এখন মাটি কাটছে দেখে আমরা খোঁজ নিই। তখনই এসব জানা যায়।”