Dengue: অলক্ষ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু, ‘বেহুঁশ’ প্রশাসন
Malda: মালদায় মেডিক্যাল কলেজে তো বটেই, অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও রোজই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি হাসপাতালে শয্যা-সঙ্কট দেখা দিতে শুরু করেছে
মালদা: একে করোনা। দোসর ডেঙ্গু। করোনার দাপটে অলক্ষ্যে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে ডেঙ্গু (dengue)। হুঁশ ফিরছে না প্রশাসনের। রাজ্য জুড়ে পরিলক্ষিত হচ্ছে এই একই ছবি। মালদায় ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা যা ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। পাশাপাশি, অভিযোগ, করোনা কাঁটায় জেরবার হয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোনও বিশেষ পদক্ষেপ করছে না প্রশাসন।
সূত্রের খবর, মালদায় মেডিক্যাল কলেজে তো বটেই, অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও রোজই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি হাসপাতালে শয্যা-সঙ্কট দেখা দিতে শুরু করেছে। চিকিত্সকদের অভিযোগ, সরকারিভাবে ডেঙ্গু নিয়ে সেভাবে কোনও সচেতনতার প্রচার করা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে না। এমনকী, কী কী পদক্ষেপ করা উচিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে তাও জানেন না অনেকে।
পাশাপাশি, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হতেই ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করছে না প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরাও। জমা জল থেকেই ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই বছর প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে ৯০০ ছাড়িয়েছে। রোজই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২৭ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে সাড়ে ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে। ডেঙ্গুর দাপট বাড়ছে রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৭ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে বাংলায় ডেঙ্গুর কবলে পড়েন ৬৫০ জন। গত বছর এই সময় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪১৯।
গত সপ্তাহ থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। চলতি সপ্তাহে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬৩ জন। কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৯২ জন। হাওড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২২। নদিয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩২ জন। দার্জিলিংয়ে এই সংখ্যাটা ২৬। এরপরই রয়েছে মালদহের স্থান। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও ৭৩। উত্তর দিনাজপুরে ১৬।
ডেঙ্গুর উপসর্গ
যে কোনও রোগেরই উপসর্গ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে রোগ মোকাবিলার প্রথম ধাপটাই আপনি জেনে গেলেন। উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সময় মতো রোগ নির্ণয় করা দরকার। চোখের ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, বমি, হাড়ের ব্যথা, ফুসকুড়ি, পেশী ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত, জয়েন্টে ব্যথা, ক্লান্তি বা অস্থিরতার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিলে সতর্ক হোন। এগুলি ডেঙ্গুর উপসর্গ।
ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে বিপদজনক ডেন ২ ও ডেন ৩। এ রাজ্যে এই দুই সেরোটাইপেরই বাড় বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দেখা গিয়েছে ডেন ২ সব থেকে মারাত্মক। এর পিছনেই রয়েছে ডেন ৩। মাইক্রো বায়োলজিস্টরা বলছেন, ‘ডেন ২ ডেন ৩ মারাত্মক। অথচ এবারও শোনা যাচ্ছে এই দু’টো এ রাজ্যে ভালই পাওয়া যাচ্ছে। ডেন ৩ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’ সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর ছয় থেকে সাতদিনের মধ্যে সেরে যায়। হেমারেজিক ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশি। ডেন ২ বা ডেন ৩ ঘটাতে পারে ডেঙ্গু হেমারেজ। এর ফলে শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।
আরও পড়ুন: Weather: বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্তের আশঙ্কা, হিমেল পরশেও ঝরতে পারে ঘাম