100 Days work: কাজের কাজ কিছুই হল না, এদিকে উধাও প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ টাকা!
Malda: কোনও কাজ না করেই সেই জলা জমিতেই ফলক লাগানো হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে। সেখানে দেওয়া হয়েছে ১০০ দিনের কাজের খতিয়ান।
মালদা: উধাও প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। জমির জল নিকাশের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল এই টাকা। কিন্তু সেই টাকা না মিলতেই প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।
জলে ডুবে গিয়েছে তিন একরের বেশি জমি। রোজগার হীন শতাধিক কৃষক। অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে দিন কৃষক পরিবারের। অন্যদিকে কোনও কাজ না করেই সেই জলা জমিতেই ফলক লাগানো হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে। সেখানে দেওয়া হয়েছে ১০০ দিনের কাজের খতিয়ান। যার কারণে বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ শুরু করল কৃষকরা।
মালদার কুশিধা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম পাড়া এলাকায় সেই জলা জমি জুড়েই বিক্ষোভে কৃষকরা। এই এলাকার সব পরিবারই প্রায় কৃষক পরিবার। প্রত্যেকেই জমির ফসলের ওপর নির্ভরশীল। তিন ফসলা,দুই ফসলা জমি। পশ্চিম পাড়া এলাকা দিয়ে বিস্তীর্ণ চাষের জমির পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে সরু খাল। এলাকার জল নিকাশের কাজে লাগে এই খাল। জলের সঙ্গে নোংরা আবর্জনাও যায়। সেই খাল সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন অংশে বুঁজে গিয়েছে।
জল বেরোবার পথ নেই। জল বর্ষায় উপচে গিয়ে ভাসিয়েছ একরের পর একর জমি। দেখে মনে হবে নদী তৈরি হয়ে গিয়েছে। গ্রামের লোকজন নিজেরা চেষ্টা করে জল নিকাশের কিছু ব্যবস্থা করলেও বিশেষ সুবিধা হয় নি। বৃষ্টির সেই জল শীতেও তিন একর চাষের জমিকে নদী বানিয়ে রেখেছে।
অথচ অন্যদিকে কুশিধা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ওই খাল সংস্কারের জন্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। সংস্কারের কোনও কাজ না করেই সেই টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। কাজ না করলেও পঞ্চায়েতের তরফে সেই জলা জমিতেই ফলক তৈরি করে সেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। এদিকে দিনের পর দিন জমি জলে ডুবে থাকায় বন্ধ চাষাবাদ। বন্ধ রোজগার। বিপাকে কৃষকরা। বহুবার পঞ্চায়েত ব্লক প্রশাসনের কাছে দরবার করেও কোনও ফল হয় নি। বাধ্য হয়ে কিছু জন মিলে বিক্ষোভ শুরু করেছে এলাকার কৃষকরা।
আরও পড়ুন: Drinking water: বন্ধ বাম আমলে তৈরি পানীয় জল প্রকল্প! শাসকের ‘ইগোর লড়াইয়ে’ বঞ্চিত সাধারণ মানুষ