Maldah: খাটিয়াকাণ্ডে রাস্তা নিয়ে ‘সোশ্যাল-লড়াই’ বিজেপি-তৃণমূলের
Maldah: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শনিবার ভিডিয়োটি শেয়ার করে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান। অথচ বাংলার সাধারণ মানুষ ন্যূনতম পরিষেবার অভাবে প্রিয়জনকে হারাচ্ছেন। এবার মালদহ। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবার নিজের ব্যর্থতা মেনে নিন।'
মালদহ: বেহাল পথ। অ্যাম্বুল্য়ান্স ঢুকবে কীভাবে? মরণাপন্ন তরুণীকে খাটিয়ায় শুইয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে হাসপাতালে ছুটল পরিবার। ভয়াবহ এই দৃশ্য এ রাজ্যের মালদহ জেলার বামনগোলার। ১৯ বছরের তরুণী মামনি রায়কে বাঁচানো যায়নি। তবে এই মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শনিবার ভিডিয়োটি শেয়ার করে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান। অথচ বাংলার সাধারণ মানুষ ন্যূনতম পরিষেবার অভাবে প্রিয়জনকে হারাচ্ছেন। এবার মালদহ। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবার নিজের ব্যর্থতা মেনে নিন।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি যখন সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতে ব্যস্ত, তখন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের নিশানায় একযোগে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিজেপি বিধায়ক জয়েল মুর্মু ও বঙ্গ বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, ‘মালদহের মামনি রায়ের মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী? রাস্তার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি কাদের জন্য? কাদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স যেতে পারেনি ওই রাস্তায়?’
While @abhishekaitc takes frequent overseas medical trips,the people of Bengal are losing their loved ones due to the absence of the bare minimum healthcare services;this time at Malda. It’s high time that the Minister of Health and Family Welfare, WB publicly accepts her failure pic.twitter.com/ipl6wtSuLl
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) November 18, 2023
Who is responsible for the tragic demise of 25-year-old Mamoni Roy of Malda? Who is responsible for the abysmal condition of roads that restricted ambulance access and forced her family members to carry her to Bamangola Rural hospital on a cot?
Bamangola falls under Maldaha…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 18, 2023
কুণাল মনে করিয়ে দেন, বামনগোলা মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্র ও হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। দু’টিই বিজেপির দখলে। সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক জয়েল মুর্মু। কুণাল লেখেন, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রাথমিক পরিষেবাটুকু দিতেও ব্যর্থ কেন?’ এ প্রসঙ্গে PMGSY ফান্ডের টাকা থেকে বাংলাকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে বলেও লেখেন কুণাল। নাম করে খগেন মুর্মুকে বিঁধতেই, তিনিও পাল্টা বলেছেন, “কুণালের মাথার ঠিক নেই। ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন।” রাজনীতির আকচাআকচির আড়ালে কি এভাবেই মামনি রায়রা হারিয়ে যাবেন, প্রশ্ন তুলছে সুশীল সমাজ।