Malda Child sold: পেটের জ্বালায় পেটের সন্তানকে বিক্রি মায়ের, এখানেও কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

Malda Child sold: বাড়িতে এতটাই টাকার অভাব, যে সদ্যোজাতর জন্য প্রয়োজনীয় কোনও খাবার কেনার ক্ষমতাও নেই বলে দাবি গৃহবধূর। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। বিনোদ আগরওয়াল নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে নিয়ে নেন শিশুকে।

Malda Child sold: পেটের জ্বালায় পেটের সন্তানকে বিক্রি মায়ের, এখানেও কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা
সন্তানকে বিক্রি করে দেন মাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2023 | 7:46 PM

মালদহ: অভাবের তাড়নায় শিশু সন্তানকে বিক্রি মায়ের। ১৮ দিনের পুত্র সন্তানকে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠল মালদহে। শুধু তাই নয়, সেই টাকা কেড়ে নিয়েছেন তৃণমূল নেতা, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রামের ঘটনা। এই বিষয়ে সালিসি সভাও বসেছিল গ্রামে। এক তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য এই ঘটনায় মধ্যস্থতা করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি ভিনরাজ্যে কর্মরত। ঠিকভাবে মহিলাকে টাকা পাঠাতে পারেন না। বাড়িতে রয়েছে এক বছরের পুত্র সন্তান।

গত ১ নভেম্বর হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আরও এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ। কিন্তু বাড়িতে এতটাই টাকার অভাব, যে সদ্যোজাতর জন্য প্রয়োজনীয় কোনও খাবার কেনার ক্ষমতাও নেই বলে দাবি গৃহবধূর। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিনোদ আগরওয়াল নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু কোনও পুত্র সন্তান নেই। তাই গৃহবধূর সদ্যোজাত সন্তানকে টাকার বিনিময়ে কিনে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাঁরা। দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশুকে তাঁদের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়ে যান গৃহবধূও। সেই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। গ্রামে বসে সালিসি সভা। সভার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্যোজাতকে বিনোদ বাবুর কাছ থেকে নিয়ে আবার গৃহবধূর হাতে তুলে দেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, ওই দেড় লক্ষ টাকা দ্রোণাচার্য জোর করে নিয়ে নেন গৃহবধূর কাছ থেকে। পরবর্তীতে গ্রামে এই নিয়ে সালিশি সভা হলে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ফেরত দেন। কিন্তু বাকি ৩০ হাজার দেননি।

তৃণমূল নেতা দ্রোণাচার্যর দাবি, তিনি শুধুই শিশু বিক্রি আটকাতে চেয়েছিলেন। কোনও টাকার বিষয় তিনি জানেন না। অন্যদিকে গৃহবধূ সদ্যোজাতকে বিক্রির কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। গৃহবধূ জানিয়েছেন, সংসারে অত্যন্ত অভাব। খাবারও জোটে না। স্বামীকে টাকা পাঠাতে বললেও পাঠান না তিনি। তাই বাধ্য হয়েই এই কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। যদিও বিনোদ আগরওয়াল এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এদিকে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।