Malda Child sold: পেট ভরাতে পেটের সন্তানকে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিলেন, ‘অভাগা’ মায়ের পাশে প্রশাসন
Malda: হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল খবর পেয়ে ওই অসহায় মায়ের হাতে খাবার সামগ্রী তুলে দেন। আবাস যোজনার ঘর পায়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। তাও দেখবেন বলেছেন। তবে অভিযুক্ত দ্রোণাচার্যকে তদন্তের মুখে পড়তে হবে কি না তা এখনও কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
মালদহ: কোলের শিশুকে খাওয়াতে না পেরে বিক্রি করে দিতে উদ্যত হয়েছিলেন মা। সংবাদমাধ্যমে সে খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। অভাবী মায়ের পাশে দাঁড়ালেন বিডিও। খাদ্য সামগ্রী, পোশাক তুলে দেন ওই ‘হতভাগ্য’ মায়ের হাতে। প্রতি মাসে চাল ও অর্থ সাহায্যেরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ব্লক প্রশাসনের তরফে। তবে এত অবধি ঠিকই আছে। কিন্তু এই ঘটনায় তো শুধু শিশু বিক্রির অভিযোগই নয়, রয়েছে আরও এক সাংঘাতিক অভিযোগও। সন্তান বিক্রির খবর ছড়াতেই ওই মাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল গ্রামের সালিশি সভায়। সেখানে এক তৃণমূল নেতা দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায় সন্তান বিক্রির টাকা ওই মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে এখনও তার কোনও তদন্ত হয়নি বলেই অভিযোগ।
মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানায় পিপলা গ্রাম। সে গ্রামেরই এক মহিলা দ্বিতীয় পুত্রের জন্ম দেন গত ১ নভেম্বর। তাঁর স্বামী কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। মা দুই সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে। এদিকে দুই সন্তানের খাওয়ার খরচ চালাতে পারছেন না মা। অভিযোগ, এরপরই এক ব্যবসায়ীকে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাত ছেলেকে তুলে দিতে যান।
হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল খবর পেয়ে ওই অসহায় মায়ের হাতে খাবার সামগ্রী তুলে দেন। আবাস যোজনার ঘর পায়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। তাও দেখবেন বলেছেন। তবে অভিযুক্ত দ্রোণাচার্যকে তদন্তের মুখে পড়তে হবে কি না তা এখনও কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “একমাত্র তৃণমূলই পারে শিশু উদ্ধার করেও কাটমানি নিতে।” অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য, “অভিযোগ থাকলে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। তবে তৃণমূলের সঙ্গে যে যোগাযোগ আছে সেটাও প্রমাণ করতে হবে।”