Adhar Card: পোস্ট অফিসের পাশে নোংরায় পড়ে গুচ্ছ গুচ্ছ আধার কার্ড! ফেসবুক লাইভে বিস্ফোরক দাবি দুই ভাইয়ের
Murshidabad: একইসঙ্গে প্রমাণিত নয়, এই আধার কার্ডগুলি আদৌ বৈধ কি না।
মুর্শিদাবাদ: প্লাস্টিক আর আবর্জনায় বোঝাই পোস্ট অফিসের লাগোয়া নর্দমা। তার সঙ্গেই পড়ে রয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ আধার কার্ড (Adhar Card)। রবিবার সন্ধ্যায় এমন দৃশ্য রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার ঔরঙ্গাবাদে (Suti Aurangabad)। পোস্ট অফিসের পাশের নর্দমাতেই কেন এত অসংখ্য আধার কার্ড পড়ে, সেই রহস্য এদিন রাত পর্যন্ত যদিও খোলসা হয়নি। একইসঙ্গে প্রমাণিত নয়, এই আধার কার্ডগুলি আদৌ বৈধ কি না। তবে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় স্থানীয়দের মধ্যে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমেই যেহেতু গ্রাহকদের কাছে আধার কার্ড পৌঁছয়, আর পোস্ট অফিসের পাশের নর্দমাতেই যেহেতু আধার কার্ডগুলি মিলেছে, স্বাভাবিকভাবে তাই গোটা ঘটনায় পোস্ট অফিসের বিরুদ্ধে গাফলতির আঙুল উঠেছে। যদিও রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় পোস্ট অফিসের তরফে কারও কোনও বক্তব্য মেলেনি।
ঘটনাটি এদিন সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভ করে প্রথম সামনে আনেন এলাকার দুই বাসিন্দা। দুই ভাই মোহিতকুমার জৈন ও অঙ্কিতকুমার জৈন ফেসবুক লাইভ করেন। অঙ্কিতের বক্তব্য, তিনি ওই ঔরঙ্গাবাদ উপ ডাকঘরের সামনে দিয়েই এদিন যাচ্ছিলেন। সেখানে কিছু বাচ্চাকে দেখেন হাতে আধার কার্ড নিয়ে হইহই করছে। নিজেদের মধ্যে মেতে আছে তারা। সন্দেহ হয় অঙ্কিতের। তাঁর দাদা মোহিতও একই প্রশ্ন করেন। জিজ্ঞাসাবাদেই অবাক করে দেওয়ার মতো তথ্য বেরিয়ে আসে বলে দাবি অঙ্কিতের।
অঙ্কিত জৈন বলেন, “এত আধার কার্ড বাচ্চাগুলো কোথায় পেল জানতে চাইতেই তারা নর্দমার দিকে দেখায়। তা দেখেই চমকে উঠি।” তাঁর দাদা মোহিত সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক লাইভ করে ঘটনার কথা এলাকার মানুষের সামনে তুলে ধরতে পরামর্শ দেন। অঙ্কিত তাই করেন। এর সঙ্গেই মোহিতের অভিযোগ, “মানুষ ২০০–৩০০ টাকা দিয়ে এত কষ্ট করে আধার কার্ড করায়। আর এদের গাফিলতিতে কার্ডগুলোর কী দশা ভাবুন।” প্রায় শ’দুয়েক কার্ড তাঁরা নর্দমায় আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি দুই ভাইয়ের। অঙ্কিতের বক্তব্য, “পোস্ট অফিসে এসে কার্ড চাইলে ওরা দিতে চায় না। আর এভাবে সব ফেলে দিয়েছে নর্দমায়। মানুষ দেখুক, জানুক কী অবস্থা পোস্ট অফিসের পরিষেবার।”
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে একটি আধার কার্ড করাতে ন্যূনতম খরচ ৫০ টাকা। তাতে নিজের ফোন নম্বর, ইমেল আইডি থাকলে সেটুকু তথ্য দিয়ে দেওয়া যায় আধার কার্ডে। বায়োমেট্রিক করালে তার খরচ ১০০ টাকা। এটি আধার কার্ডে নতুন কোনও তথ্য যুক্ত করার সরকারি হিসাব। নতুন কার্ড করানোর পরিষেবা অবশ্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়। তবে আধার কার্ড ডাউনলোড করে তা সরকারি দফতর থেকেই প্রিন্ট করাতে চাইলে দিতে হয় আরও ৩০ টাকা। এই সমস্ত কাজ কোনও বেসরকারি জায়গা থেকে করাতে হলে তার উপর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নরকম পরিষেবা মূল্য ধরা হয়। সেই মূল্য ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ঔরঙ্গাবাদের ঘটনা সামনে আসায় বর্তমান এই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেই তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও করেছেন।
আরও পড়ুন: Bengal BJP: ‘বিদ্রোহ’ চলছেই! বাঁকুড়ায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি-সহ ১৩০ জনের পদত্যাগ