Murshidabad: গরু পাচার মামলায় CID-র বাজেয়াপ্ত সামগ্রী হেফাজতে নিল না CBI
Cattle Smuggling Case: সিআইডি চাইছে, কাঁচা মাল হওয়ায় ওই সামগ্রী নিলাম করে আদালতের তত্ত্বাবধানে রাখতে চাইছেন। আদালত এ বিষয়ে সিআইডি-কে হলফনামা জমা দিতে বলে। লালবাগ মহুকুমা আদালতে বিচারক নীলাঞ্জনা ঘোষের এজলাসে সিআইডি-র বক্তব্য শোনা হয়
মুর্শিদাবাদ: গরু পাচার মামলায় সিআইডির বাজেয়াপ্ত সামগ্রী নিজেদের হেফাজতে নিল না সিবিআই। বুধবার বিষয়টি সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন। রঘুনাথগঞ্জ থানার ৪৯৩/২২ গরু পাচার সংক্রান্ত সিআইডির মামলায় বুধবার লালবাগ মহুকুমা আদালতে যান সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার। গরু পাচার মামলায় সিআইডির ৭৩১/১৯ রঘুনাথগঞ্জের একটি মামলায় মূল চক্রী এনামুল হকের ভাগ্নের নবগ্রামে অবস্থিত জেএইচ এম রাইস মিলে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চাল বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই চাল এখনও ‘আনক্লেইমড’ হয়ে আছে।
সিআইডি চাইছে, কাঁচা মাল হওয়ায় ওই সামগ্রী নিলাম করে আদালতের তত্ত্বাবধানে রাখতে চাইছেন। আদালত এ বিষয়ে সিআইডি-কে হলফনামা জমা দিতে বলে। লালবাগ মহুকুমা আদালতে বিচারক নীলাঞ্জনা ঘোষের এজলাসে সিআইডি-র বক্তব্য শোনা হয়। সিবিআই-এর তরফেও তাদের মত শোনা হয়। সিবিআই এবিষয়ের কোনও বিরোধিতা করেনি।
প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলায় মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের মিঞাপুরের অন্তর্গত জয়রামপুরের তাঁতিপাড়ায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ চাল উদ্ধার হয়। নবগ্রামের পলসণ্ডা গ্রামে এনামুলের ভাগ্নে পিন্টু জেএইচএম রাইস মিল কয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারের টাকাতেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল ওই রাইসমিল। মিঞাপুরের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকেও কোটি টাকার চাল উদ্ধার করে সিআইডি।