Sagardighi: শুধু সংখ্যালঘু ফ্যাক্টর নয়, প্রার্থীও তৃণমূলের পরাজয়ের অন্যতম কারণ? কী বলছেন রাজনীতির কারবারিরা
Sagardighi: কোনও উপনির্বাচনে শাসক দলের জেতার সম্ভাবনাই থাকে প্রবল, সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ভোটার অধ্যুষিত সাগরদিঘির উপনির্বাচনে শাসক দলের পরাজয় বিরোধী শিবির বিশেষত বাম-কংগ্রেসকে উজ্জীবিত করে তুলেছেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কলকাতা: সাগরদিঘিতে তৃণমূলের পরাজয়ে অশনি সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল। ৬৩ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার অধ্যুষিত অঞ্চলে তৃণমূলের পরাজয় ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাম কংগ্রেস শিবিরের অনেকেই দাবি করছেন, সাগরদিঘি একটা মডেল। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক যে তৃণমূলের থেকে সরছে, এটা তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে দাবি করছেন তাঁরা। বিশেষত, কোনও উপনির্বাচনে শাসক দলের জেতার সম্ভাবনাই থাকে প্রবল, সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ভোটার অধ্যুষিত সাগরদিঘির উপনির্বাচনে শাসক দলের পরাজয় বিরোধী শিবির বিশেষত বাম-কংগ্রেসকে উজ্জীবিত করে তুলেছেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সাগরদিঘির ভোটের ফলাফল তাই একাধিক দিক থেকে ভাবাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। যদিও তারা প্রকাশ্যে শুধুমাত্র বিরোধীদের ‘অশুভ আঁতাতের’ তত্ত্বই সামনে এনেছে শাসক শিবির। কিন্তু দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অন্য একাধিক তত্ত্ব। পরাজয়ের কারণ খুঁজে দেখতে গিয়ে উঠে এসেছে অনেকগুলি দিক। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই হারের অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবে অনেকেই মনে করছেন ভুল প্রার্থী চয়ন। প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক সুব্রত সাহার বিরোধী বলে পরিচিত দেবাশিসকে প্রার্থী করাই কি কাল হল তৃণমূলের? এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।
সুব্রত সাহা মুর্শিদাবাদের প্রথম তৃণমূল বিধায়ক। জনপ্রিয় ছিলেন। শোনা যায়, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় সুব্রত সাহার বিরুদ্ধে ভোটে বিজেপিকে সাহায্য পাইয়ে দিয়েছিলেন। এহেন দেবাশিসকে প্রার্থী করায় অসন্তোষ জমেছিল সুব্রত সাহার অনুগামীদের একাংশের মনে। দলের একাংশ এখন মনে করছে, এর চেয়ে সুব্রত সাহার স্ত্রীকে প্রার্থী করলে এতটা খারাপ হত না। উল্টে সহানুভূতির ভোটও পাওয়া যেত।
অনেকে আবার মনে করছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনও মানুষকে প্রার্থী করা উচিত ছিল। দেবাশিসের নাম প্রস্তাব করেছিল খলিলুর রহমান। এই নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের গভীর আপত্তি ছিল বলে জানা যায়। যদিও রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা আরও কিছু বেশি। অনেকেই মনে করছেন নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারি প্রভাব ফেলেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের মন-মানসিকতায় । তৃণমূলের অন্দরেও এই নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে কানাঘুষো রয়েছে। অনেক প্রবীণ তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ মহলে বক্তব্য ছিল, নওশাদকে এত দিন ধরে আটকে রাখার মানেই হয় না। এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। সাগরদিঘি সেই আশঙ্কাই কি সত্যি প্রমাণ করল? প্রশ্নটা থাকছেই। এদিকে বিজেপির ভোট শিফটও একটি বড় প্রভাব ফেলেছে। বিজেপি সাগরদিঘিতে ২০২১ সালে ভোট পেয়েছিল ৪৬ হাজার। উপনির্বাচনে তারা ভোট পেয়েছে ২৩ হাজার। বাকি ভোট গিয়েছে কংগ্রেসে।