TMC MLA: অভিষেকের চোখ নিয়ে কুকথা শুনলে সমালোচকের চোখ উপড়ে ফেলার হুঁশিয়ারি বিধায়ক ইদ্রিস আলির
Murshidabad: ভগবানগোলায় সর্বধর্ম প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি।
মুর্শিদাবাদ: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলে চোখ উপড়ে নেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি (MLA Idris Ali)। মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিস। রবিবার ভগবানগোলা থানা এলাকার ডাকবাংলায় তৃণমূল কার্যালয়ে তাঁর উদ্যোগে এক সর্বধর্ম প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। অভিষেকের আরোগ্য কামনায় মন্ত্র পড়া হয়। সেখানেই ইদ্রিস আলি বলেন, “এখনও অভিষেকের নানা অসুবিধা রয়েছে। মাথা ধরছে, পড়তে গেলে অসুবিধা হচ্ছে, অন্যান্য সমস্যা আছে চোখের জন্য। তাই আজ আমরা জাতি ধর্ম জনমত নির্বিশেষে সকলে কামনা করব উনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।”
এরপরই ইদ্রিস আলিকে সুর চড়াতে শোনা যায়। ইদ্রিস বলেন, “মানুষের দুর্ঘটনা, মানুষের বিপদ নিয়েও বিরোধীরা সমালোচনা করছে। বিজেপি-সহ বিরোধীরা এতটাই নির্লজ্জ। তাদের বলি ঠাট্টা, তাচ্ছিল্যের সীমা আছে। মানুষের চোখ চলে যাচ্ছে, সেখানেও ঠাট্টা। চোখ নিয়ে অভিষেকের ব্যাপারে যদি দ্বিতীয়বার কোনও সমালোচনা করা হয়, ঠাট্টা, তামাশা করা হয় প্রয়োজনে আমরা যে বলবে তাঁর চোখটা উপড়ে নিতে বাধ্য হব। বিরোধীদের দু’ একটা নেতা অসভ্য। তাঁরা যা বলছেন তা সভ্য রাজনীতির অঙ্গ নয়।”
ইদ্রিসের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “বাংলার রাজনীতিতে ইদ্রিস আলি মুখ হতে চাইছেন এ ধরনের কুমন্তব্য বা হুমকি ধমকি দিয়ে। অনুব্রত জেলে। সেই জায়গা দখলে অনেকে প্রতিযোগিতায় নাম লেখাচ্ছেন।” প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় রয়েছেন। সেখানে তাঁর চোখে অস্ত্রোপচারও হয়েছে। আর এই বিষয়কে সামনে রেখে একাধিক বিজেপি নেতার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
যেমন তথাগত রায় ১৩ অক্টোবর একটি টুইট করেন। সেখানে লেখেন, ‘অভিষেকের চোখে ঠিক কী হয়েছে, কোন শহরে কোন হাসপাতালে কোন ডাক্তার কি অপারেশন করলেন জানলে বড় ভাল হত। প্রথমে তো শুনেছিলাম উনি চিকিৎসার জন্য দুবাই যাচ্ছেন ! ইনসিওরেন্স ছাড়া আমেরিকায় চিকিৎসার খরচ আকাশছোঁয়া। খরচই বা কত হল, টাকাই বা কে দিলেন? কেউ একটু RTI করে দেখবেন নাকি?’
দিলীপ ঘোষ বলেন, “একদম বিশ্বাস নেই। সরকারি হাসপাতালে বিশ্বাস নেই, তাই বেসরকারি হাসপাতালে যান। দ্বিতীয় হল টাকা-পয়সার গণ্ডগোল। সত্য-মিথ্যা পরে জানা যাবে।” বিজেপি বিধায়ক সৌমিত্র খাঁকে বলতে শোনা যায়, “সকলে দেখছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক চোখ, একটা ছবি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বাঁচতে ইউএসএতে পালিয়ে গিয়েছেন। আমার এক বন্ধু আছে ইউএসএতে। কুণাল ঘোষ টুইট করার পর তাকে বললাম হাসপাতালে খোঁজ নিতে। জানতে পারলাম শুধুমাত্র চোখটা দেখিয়েছেন নাকি। জানি না তার পর ভিতরে কতটা সত্যি মিথ্যা। আমার যতটা মনে হয় বিনয় মিশ্রের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য উনি ইউএসএ গিয়েছেন। কোর্টকে ঠকাতে, ইডি, সিবিআইকে ঠকাতে তিনি এক বছর ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশের বাইরে থাকবেন বলে মনে হয়। রাজনীতির কোনও আঙিনায় থাকবেন না বা ইডি সিবিআইয়ের কাছে যাবেন না বলে মনে হয়।”