Diamond Harbour Politics: ডায়মন্ড হারবারে ISF কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, থানায় ধর্না নওশাদের
নওশাদ আরও বলেছেন, "এলাকায় আইএসএফের প্রভাব বাড়ছে দেখে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। শাসকদলের আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ মানুষ ক্রমশ জোটবদ্ধ হচ্ছে। তাঁরা আইএসএফের পতাকার নীচে জড়ো হচ্ছেন। আগামীদিনে দলের শক্তি আরও বাড়বে। শাসকদলের চোখরাঙানিতে আমরা ভীত নই।"
ডায়মন্ড হারবার: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ব্লক পর্যায়ের এক সাংগঠনিক বৈঠক হয় শনিবার। ঐ বৈঠকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েকশো কর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন। বৈঠকের পরই বাগদা ও বাসুলডাঙ্গা গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আইএসএফ কর্মীদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা কর্মীদের মারধর করে ও দোকান ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ আইএসএফের। অভিযোগ, বাসুলডাঙা গ্রামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের নেতৃত্বে এই আক্রমণ চলে। তাছাড়া ডায়মন্ড হারবার স্টেশনের কাছে এক আইএসএফ কর্মীর দোকান ভাঙচুর করা হয় ও লুটপাট চালানো হয়। রবিবার দুপুরে আইএসএফ চেয়ারম্যান ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি নির্যাতিত কর্মীদের বাড়িতে যান। তিনি ডায়মন্ড হারবার থানাতেও যান এবং ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে অবিলম্বে বরখাস্তের দাবি জানান। এই ধরণের জঘন্য হামলা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেই ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে আবেদনও করেন। থানার আধিকারিকরা বিধায়ককে আশ্বাস দিয়েছেন যে তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, “এলাকায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে তৃণমূলীরা। বিরোধী কণ্ঠকে তাঁরা দমাতে চাইছে। মিথ্যা অভিযোগে আমাদের এক কর্মীকে পুলিশ গতরাতে থানায় নিয়ে গিয়ে আটক করে। পরে তাঁকে জামিন করিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়। সেই কর্মীর ভাইয়ের মাথা ফাটিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তাঁর মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। আমাদের কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। বাড়ির মহিলাদের গালিগালাজ ও তাঁদের সঙ্গে অসভ্য আচরণ করেছে। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হুমকি দিয়েছেন যে আইএসএফ করলে গুলি করে মেরে দেওয়া হবে।” নওশাদ আরও বলেছেন, “এলাকায় আইএসএফের প্রভাব বাড়ছে দেখে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। শাসকদলের আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ মানুষ ক্রমশ জোটবদ্ধ হচ্ছে। তাঁরা আইএসএফের পতাকার নীচে জড়ো হচ্ছেন। আগামীদিনে দলের শক্তি আরও বাড়বে। শাসকদলের চোখরাঙানিতে আমরা ভীত নই।”
এই অগণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাকে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। এ বিষয়ে অভিষেকের উদ্দেশে নওশাদ বলেছেন, “এটাই কি তাঁর দলের নীতি? তিনি কি পক্ষান্তরে গণতন্ত্রের কথা বলে, আসলে সন্ত্রাস সৃষ্টির নিদান দিলেন দলের পোষ্য গুন্ডাদের? তাঁর দলের অবস্থান যদি এরূপ গণতন্ত্র হত্যার বিপক্ষে হয়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে তাঁর দল এবং প্রশাসন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করব।” যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, অভিষেকের নির্বাচনী ক্ষেত্রে ডায়মন্ড হারবার থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন নওশাদ। তার পর থেকেই ওই এলাকায় শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আইএসএফ। এর মধ্যে ঘটল এই ঘটনা। তাহলে আগামী দিনে আরও অশান্ত হতে পারে ডায়মন্ড হারবার।