ED raids Rathin Ghosh: ১৯ ঘণ্টা তল্লাশির পর গভীর রাতে রথীন ঘোষের বাড়ি থেকে বেরলেন ED আধিকারিকরা
ED raids Rathin Ghosh: তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এদিন মন্ত্রীর বাড়ির বাইরে বলতে থাকেন 'খাদ্যমন্ত্রী জিন্দাবাদ, ইডি হায় হায়'। রথীন ঘোষ দাবি করেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশেই তাঁকে হেনস্থা করার জন্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পাঠানো হয়েছে।
মধ্যমগ্রাম: দিনভর তল্লাশি শেষে রাত প্রায় দেড়টার সময় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়ি থেকে বেরলেন ইডি-র আধিকারিকরা। রথীন ঘোষের বাড়ির সামনে তখন তাঁর অনুগামী তথা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। স্লোগান উঠছে। তবে তদন্তকারী অফিসারদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য নিজে বেরিয়ে এসে সহযোগিতা করেন রথীন ঘোষ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী জানান,তাঁর বাড়ি থেকে কিছু উদ্ধার হয়নি। তিনি নিজেও ইডি-কে সাহায্য করেছেন বলে দাবি খাদ্যমন্ত্রীর।
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, ইডি আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেননি। পুর নিয়োগের বিষয়ে বোঝার ক্ষেত্রে ইডি-র অনেক সমস্যা আছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নিজে একটি বই দিয়ে আধিকারিকদের সহযোগিতা করেছেন বলেও দাবি খাদ্যমন্ত্রীর। তবে তাঁর বাড়ি থেকে কোনও নথি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রথীন ঘোষ।
তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এদিন মন্ত্রীর বাড়ির বাইরে বলতে থাকেন ‘খাদ্যমন্ত্রী জিন্দাবাদ, ইডি হায় হায়’। রথীন ঘোষ আরও দাবি করেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশেই তাঁকে হেনস্থা করার জন্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পাঠানো হয়েছে। কামারহাটি পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের বাড়িতে।
অন্যদিকে, দীর্ঘ প্রায় ২২ ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়েছে কামারহাটি পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের বাড়িতে। ভোর চারটে নাগাদ দুটি ট্রলিং ও দুটি ব্যাগে ফাইল ও নথি নিয়ে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার ভোর ছটা থেকে তল্লাশি শুরু হয় তমাল দত্তের বাগুইআটি অর্জুনপুরের বাড়িতে। এরপর থেকেই শুরু হয় তল্লাশি। কী নথি উদ্ধার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
এছাড়া দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপ পুরপ্রধান নিতাই দত্তের লেক টাউন শ্রীভূমির ফ্ল্যাট থেকে রাতে বেরিয়ে যান ইডি-র তদন্তকারীরা। প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশির পর বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার বাড়ি থেকেও রাতেই বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা।