Corruption Case: কাজ হয়নি, শুধু তোলা হয়েছে টাকা! তদন্ত শুরু পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে

Corruption Case: পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকায় রাস্তা, পাইলিং, ম্যানগ্রোভ রোপণের মতো একাধিক প্রকল্পে কোনও কাজই হয়নি বলেই অভিযোগ। অথচ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

Corruption Case: কাজ হয়নি, শুধু তোলা হয়েছে টাকা! তদন্ত শুরু পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 06, 2023 | 11:29 AM

বসিরহাট: একাধিক দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ও শাসক দল ঘনিষ্ঠরা। সেই আবহেই পঞ্চায়েতের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তৎপর হলেন বসিরহাটের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হল এবার।

বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের যোগেশগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অর্থ ও পরিকল্পনা উপসমিতির সমস্ত সদস্য এবং পঞ্চায়েতের আধিকারিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২২ মার্চ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন ওই পঞ্চায়েতেরই সদস্য গোবিন্দ অধিকারী। পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা সমীর মজুমদার ও তাপস মল্লিক সহ অনেকেই অভিযোগে সমর্থন করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ আর্থিক বছরগুলিতে সরকারি প্রকল্পে নিয়ম মতো কাজ না করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকায় রাস্তা, পাইলিং, ম্যানগ্রোভ রোপণের মতো একাধিক প্রকল্পে কোনও কাজই হয়নি বলেই অভিযোগ। অথচ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আবার কোনও প্রকল্প মাঝপথে শেষ করেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলেও দাবি করছেন অভিযোগকারীরা। ১৬টি প্রকল্প থেকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এই আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ করা হয় রাজ‍্যের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্য সচিব, বসিরহাটের মহকুমা শাসক ও হিঙ্গলগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৮ এপ্রিল বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই নির্দেশিকায় যোগেশগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়। সেই আশ্বাস মতোই শনিবার যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতে যান বসিরহাটের ডেপুটি ম‍্যাজিস্ট্রেট সুশান্ত মাইতি সহ মহকুমা শাসকের দফতর ও হিঙ্গলগঞ্জ বিডিও অফিসের সাত জনের এক প্রতিনিধি দল। পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও একাধিক আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা।

অন্যদিকে যারা অভিযোগ করেছিলেন তাদের সাথেও বৈঠক করেন। তারপর যে সমস্ত জায়গা গুলি থেকে প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সেই স্থান গুলিতে গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। যদিও সংবাদমাধ্যমে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এই ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নগেন্দ্রনাথ বৈদ‍্য। তিনি বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই পঞ্চায়েতে কোনও রকম আর্থিক তছরুপ হয়নি। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তাই বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।”

অপরদিকে অভিযোগকারীরা বলেন, “দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে এই পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হয়ে আসছে। তাই আমরা পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছি। চাইছি দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।” বসিরহাটের মহকুমা শাসক মৌসম মুখোপাধ্য়ায় বলেন, “যোগেশগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু অভিযোগ পেয়েছিলাম। তার জন্য আমাদের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অনুসন্ধানে গিয়েছিলেন। উনি বিস্তারিত অনুসন্ধান করেছেন। রিপোর্টটি জমা পড়লে আমি এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত বলতে পারব।”