Hospital: ‘রবিবার কিছু হলে মরা ছাড়া উপায় নেই’, ৪ সরকারি হাসপাতাল ঘুরে হতাশা রোগীর পরিবারের গলায়
Khardah: তনুশোভার নিউরোর কোনও সমস্যা হয়েছে বলেই মনে করছে পরিবার। তাঁদের এক আত্মীয় অজয় চন্দ বলেন, চারবার অজ্ঞান হয়ে যায়, মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরিয়ে গিয়েছিল। আমরা প্রথমে বিএন বোসে নিয়ে যাই। সেখানে ভর্তি করে ফেলে রেখে দিয়েছিল। ১ ঘণ্টা পর ডাক্তার এসে বললেন সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে। যে ওষুধ লিখে দিলেন সেটা কোথাও পেলাম না। এরপর ওরা স্থানান্তরিত করে দিল।"
উত্তর ২৪ পরগনা: রবিবার ছুটির দিন। এর আগেও ছুটির দিনে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পাওয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন রোগীর আত্মীয়রা। আরও একবার সেই অভিযোগ খড়দহের তনুশোভা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের। অভিযোগ, শুধুমাত্র রবিবার বলেই ব্যারাকপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হয়ে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স ঘুরে বাড়িতে ফিরতে হল রোগী নিয়ে। পরিবারের অভিযোগ, মেয়ে সঠিক চিকিৎসা পেল না। রাত কীভাবে কাটবে তাও জানেন না তাঁরা।
তনুশোভার নিউরোর কোনও সমস্যা হয়েছে বলেই মনে করছে পরিবার। তাঁদের এক আত্মীয় অজয় চন্দ বলেন, চারবার অজ্ঞান হয়ে যায়, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে গিয়েছিল। আমরা প্রথমে বিএন বোসে নিয়ে যাই। সেখানে ভর্তি করে ফেলে রেখে দিয়েছিল। ১ ঘণ্টা পর ডাক্তার এসে বললেন সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে। যে ওষুধ লিখে দিলেন সেটা কোথাও পেলাম না। এরপর ওরা স্থানান্তরিত করে দিল।”
অজয় চন্দের কথায়, তাঁরা রোগী নিয়ে সাগর দত্তে গেলে সিটি স্ক্যান করে নিউরো চিকিৎসককে দেখানোর কথা বলা হয়। ভর্তি করেও সেখান থেকে এনআরএসে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রোগী। এনআরএসে নিয়ে গিয়ে নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় বলে দাবি পরিবারের।
অজয় চন্দের বক্তব্য, “এনআরএস বলে আমরা নাকি ইচ্ছা করে রোগী নিয়ে এসেছি। সাগর দত্তেই রেখে দিতে পারতাম। সোমবার নিউরোর বিভাগ খুলবে, আগামিকালই আসতে বলল। তার আগে কিছু করার নেই বলল।” ততক্ষণে তনুশোভার বাবা শান্তিপুর থেকে ছুটে আসেন। তিনিই বলেন, বাঙুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে বাঙুরেও রোগী রেখে তিনটে স্যালাইন ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমন চিকিৎসা বিভ্রাট ভাবতেই পারছেন না রোগীর আত্মীয়রা। ‘রবিবার কিছু হলে মানুষের মরা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না’, বলেন অজয়বাবু।
তনুশোভার বাবা তারকেশ্বর খাঁ বলেন, “আজ রবিবার বলে সঠিক চিকিৎসা পেলাম না। মেয়ে ঘরেই আছে। অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে। সোমবারের আগে তো পরিষেবাও পাব না। খুবই চিন্তায় আমরা। মেয়েটার কী হল জানতেই পারছি না। উপরওয়ালার ভরসায় আজ রাত কাটানো ছাড়া আর তো কিছু করারও নেই।”