Bengal Strike: ‘সিপিএমের সেদিন আর নেই, রাতারাতি বনধ ডাকলে মানুষ মেনে নেবে কেন’
বাম ছাত্র যুবদের মিছিলে পুলিশি আক্রণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয় শহর। তারপর আজকের ১২ ঘণ্টা বনধ।
এক সময় ব্যারাকপুর ছিল লাল দুর্গ। সিপিএম নেতা তড়িৎবরণ তোপদারের দাপটে সে সময় বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। এখন বামেদের সে রাজপাটও নেই। রাজারও দাপট নেই। তড়িৎবাবু ও তাঁর দলকে সরিয়ে এক সময় এ শিল্পাঞ্চল দখলে নিয়েছিল তৃণমূল। দীনেশ ত্রিবেদী হন সাংসদ। ‘১৯-এর লোকসভা ভোটে সেখানে ভরাডুবি হয় তৃণমূলের। ভোটের কয়েকদিন আগে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে অর্জুনই ছিনিয়ে নেন এ এলাকার সাংসদের ‘খেতাব’। তবে দীনেশ ত্রিবেদী সাংসদ থাকাকালীনও এলাকায় অর্জুনের জয়রথই ছুটত। আর এখন তো তিনি নিজেই সাংসদ। তার হাত ধরে গেরুয়া নিশান ওড়ে এখানে।
শুক্রবার এখানে বামেদের ডাকা বনধে তেমন সাড়া মেলেনি। অভিযোগ, জোর করে কয়েক জায়গায় ধর্মঘটীরা দোকানপাট বন্ধের চেষ্টা করলেও খুব একটা সফল হননি। এদিন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন চটকলগুলিতে শ্রমিকদের হাজিরা ছিল অন্য দিনের মতোই। অনেক শ্রমিক জানান, এদিন যে বনধ, তা তাঁরা জানেনই না।
সাধারণ মানুষের এই কথার সঙ্গে একশো শতাংশ সহমত অর্জুন সিংও। তিনি বলেন, “এত অল্প সময়ে বনধ ডেকে ভুল করেছে সিপিএম। ওদের হাতে সময় নিয়ে বনধ ডাকা উচিত ছিল। এখন আর সিপিএমের সেই সংগঠন নেই যে একদিন আগে বনধ ডাকবে আর রাজ্যের মানুষ তা মেনে নেবেন।”