Biswajit Das: ‘অর্থের জন্য ছুটলে সম্মান পাওয়া যায় না’, কর্মিসভায় কেঁদে ফেললেন বিশ্বজিৎ
Biswajit Das: উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এদিন বাগদা বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে হেলেঞ্চা নেতাজি শতবার্ষিকী কমিউনিটি হলে একটি বৈঠক করেন।
বাগদা: কথা বলতে বলতেই গলা কেঁপে উঠল তাঁর। অনেক আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মঞ্চে দাঁড়িয়েই চোখের কোণা বেয়ে বেরিয়ে আসে জল। উত্তরীয় দিয়ে জল মুছলেন। মহিলা কর্মী সমর্থকরা এগিয়ে এলেন। তাঁকে জলের বোতল দিলেন। জল খাওয়ার পর ফের ভাষণ রাখতে গিয়েও গলা ধরে এল তৃণমূল প্রার্থীর।বাগদায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেঁদে দিলেন বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এদিন বাগদা বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে হেলেঞ্চা নেতাজি শতবার্ষিকী কমিউনিটি হলে একটি বৈঠক করেন।
বৈঠকে নিজের রাজনৈতিক জীবনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন. “অর্থের জন্য ছুটলে সম্মান পাওয়া যায় না । আমি সম্মানের জন্য ছুটেছিলাম সেই জন্য সম্মানও পেয়েছি অর্থও পেয়েছি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সেই সম্মান দিয়েছে।” মাইকে বলতে বলতে গলা ধরে আসে বিশ্বজিতের। ধরা গলায় তিনি বলতে থাকেন, ‘‘মানুষের কাজ করব বলে আমি হয়তো প্রতীক ‘চেঞ্জ’ করেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, “এই বক্তব্য বাগদার বিধায়ক হিসেবে আমার শেষ বক্তব্য।” এটা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেললেন বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস । মিটিং শেষে হেলেঞ্চা বাজারে একটি মিছিল করে মানুষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও হেলেঞ্চা বাজারে গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিশ্বজিৎ দাস ।
এই বিষয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বাগদার মানুষের প্রতি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি আমি । এই এলাকায় প্রচুর উন্নয়নের কাজ করেছি আমরা । বিধায়ক হিসাবে বাগদায় এটা আমার শেষ দিন সেই কারণেই আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছিলাম।”
ঘাসফুলের টিকিটে দু’বার বিধায়ক হয়েছেন। বরবারই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই তৃণমূল অন্দরে পরিচিত।কিন্তু দলের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে চলে যান বিজেপিতে। ২০১৯ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরেই পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। দিল্লিতে গিয়ে যোগদান করেন। রাজ্যে ফেরেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে। কিন্তু তারপরও ২০২১ সালে বিধানসভার বাইরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে। তারপর জল্পনা ছড়ায়। পরে সে জল্পনা সত্যিও করে বিশ্বজিৎ।