Boy Missing: দশমীর দিন শেষ কথা, ৯ দিন কেটে গেল ফোন সুইচড অফ যুবকের
Boy Missing from Sodepur: সপ্তমীর দিন ঠাকুর দেখতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই যুবক। এরপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি।
সোদপুর : সপ্তমীর দিন ঠাকুর দেখতে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন যুবক। দশমীর দিন শেষবার কথা হয়েছিল কাকার সঙ্গে। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি সোদপুরের বাসিন্দা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। দশমীর সকাল থেকেই ফোন সুইচড অফ ওই যুবকের। তাঁর খোঁজ না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার।
সোদপুরের সুখচরের ৪৪ নম্বর, টিএন ব্যানার্জি রোডের ঘটনা। ৩৪ বছর বয়সী ওই যুবক বর্তমানে বেকার। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর মোটর মেকানিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। তবে বর্তমানে তেমন কোনও কাজ করতেন না বলেই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে মৃত্যু হয় তাঁর বাবা রুদ্র নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর গত ১ এপ্রিল সাগর দত্ত হাসপাতালে মৃত্যু হয় দেবাশিসের মায়ের। তারপর থেকে একাই থাকতেন ওই যুবক।
জানা গিয়েছে, টিএন ব্যানার্জি রোডের অরুনিমা অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে থাকতেন দেবাশিস। তাঁর কাকার ফ্ল্যাটও রয়েছে ওই অ্যাপার্টমেন্টে। কিছুদিন আগেই দেবাশিস তাঁর ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে ব্যারাকপুরে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। কিন্তু পুজোর আগে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন ওই যুবক। সেই সময় তাঁকে তাঁর কাকার বাড়িতে দিয়ে যায় পুলিশ। ষষ্ঠীর দিন তিনি কাকাকে বলেন, একা থাকতে ভালো লাগছে না, ঠাকুর দেখতে যাবেন। তারপর কাকার বাড়িতে দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন খাওয়া দাওয়া করেন তিনি। নবমী দিনও ফোনে কাকার সঙ্গে কথা হয়েছিল দেবাশিসের। এরপর থেকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কাকা।
হোয়াটসঅ্যাপ শেষ খোলা হয়েছে, নবমীর রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকেরা খড়দহ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। খড়দহ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার তাঁর পরিবারের লোকেরা ভবানী ভবনে এবং লালবাজারে যোগাযোগ করবেন বলে জানা গিয়েছে।