Panihati : ২ বছর পর বসেছিল মেলা, বন্ধের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

Panihati : মেলা বন্ধের খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ২ বছর পর মেলা হওয়ায় তাঁরা খুশি হয়েছিলেন। নানা পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। আজ সকালে দেখা যায়, মেলার জন্য আসা অস্থায়ী দোকানগুলি বন্ধ।

Panihati : ২ বছর পর বসেছিল মেলা, বন্ধের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
দুর্ঘটনার জেরে মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 4:41 PM

পানিহাটি : করোনার জেরে ২ বছর বন্ধ ছিল মেলা। এবার মেলা হবে শুনে আশার আলো দেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। ভেবেছিলেন ২ বছর পর মেলা হবে। স্বাভাবিকভাবেই বেশি হবে ভিড়। ফলে তাঁদের দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু, অত্যধিক ভিড়ের জেরে দুর্ঘটনা ঘটবে, এটা ভাবতে পারেননি তাঁরা। গতকাল পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে অত্যধিক ভিড়ে অসুস্থ হয়ে ৩ পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তারপরই আজ থেকে মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আর প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের।

২ বছর পর দণ্ড মহোৎসব হওয়ায় গতকাল সকাল থেকেই ভিড় বাড়ছিল। স্থানীয়রা বলছেন, দণ্ড মহোৎসব ৫০০ বছরের বেশি পুরনো। প্রতি বছরই ভিড় হয়। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা কখনওই হয়নি। গতকাল দুর্ঘটনার পর আজ থেকে মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মেলা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন। আজ থেকে সাত দিন এই মেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, মেলাতে অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা করে তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন পানিহাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর ভট্টাচার্য।

মেলা বন্ধের খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ২ বছর পর মেলা হওয়ায় তাঁরা খুশি হয়েছিলেন। নানা পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। আজ সকালে দেখা যায়, মেলার জন্য আসা অস্থায়ী দোকানগুলি বন্ধ। ইতিউতি বসে রয়েছেন দোকানদাররা। অনেক খরচ করে জিনিসপত্র দূর থেকে এনে মেলাতে দোকান দিয়েছিলেন। এখন কী করবেন বুঝতে পারছেন না তাঁরা।

বসিরঘাট থেকে আসা তপন ঘোষ নামে এক দোকানদার বলেন, “গতকাল সন্ধেয় এসে মেলা কমিটি বলল আপনারা এখন দোকান খুলতে পারেন। আমরা ঘণ্টাখানেক দোকান খুলেছিলাম। তারপর মেলা কমিটি থেকে জানানো হল, এবছর মেলা বন্ধ।” দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়েছিল। মেলা বন্ধ না করলে তাঁদের ভাল হত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তারক ঘোষ নামে অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, “৫-৭ হাজার টাকা খরচ করে বসিরহাট থেকে এসেছি। এখন মেলা বন্ধ হলে আবার সব জিনিস ফিরিয়ে নিয়ে যেতে খরচ হবে। ফলে আমাদের প্রচুর লোকসান হবে।”

দোকান বন্ধ রেখেছেন। মেলা প্রাঙ্গণেই দুপুরের রান্না-বান্না করছেন কেউ কেউ। সবকিছু নিয়ে ফিরে যাবেন কি না, তা ভাবছেন। আবার মনে ক্ষীণ আশা রয়েছে, যদি সিদ্ধান্ত বদলে মেলা করার অনুমতি দেয় প্রশাসন। সেই আশাতেই প্রহর গুনছেন ব্যবসায়ীরা।