Duttapukur Blast: দত্তপুকুরের গ্রামে মইমের ‘অত্যাধুনিক ল্যাব’, নেতাদের আশীর্বাদের হাত থাকায় চলত রাসায়নিকের ‘খেলা’
Duttapukur Blast: আব্দুল মইম এই ল্যাবের মালিক। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে শাসকদলের একাধিক নেতার ভাল যোগাযোগ আছে বলেও এলাকার একাংশের দাবি।
বারাসত: দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ প্রাণ কেড়েছে ৯ জনের। রবিবার সকালের এই ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পার। অথচ এখনও অবধি একজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। এদিকে এলাকার লোকজনের মুখে চাঞ্চল্যকর সব অভিযোগ। দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের বাসিন্দারা বলছেন, মোছপোল গ্রামে একাধিক বাজির অবৈধ গোডাউন আছে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে দেদার বাজিও তৈরি হয় বিভিন্ন জায়গায়। শুধু বাজি তৈরি বা গোডাউনই নয়, এবার অত্যাধুনিক ল্যাবেরও খোঁজ মিলছে। জানা গিয়েছে, এই ল্যাবে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হতো। সেই ল্যাবের মালিকেরও হদিশ মিলেছে। আব্দুল মইম এই ল্যাবের মালিক। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে শাসকদলের একাধিক নেতার ভাল যোগাযোগ আছে বলেও এলাকার একাংশের দাবি। তবে আব্দুল মইম আপাতত অধরা। সে কোথায় রয়েছে খোঁজ নেই পুলিশের কাছেও।
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, পটাসিয়াম ক্লোরাইড – অ্যালুমিনিয়ামের গুঁড়ো ও বেরিয়াম নাইট্রেটের ত্র্যহস্পর্শ। অথচ কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজেশন বা পিইএসও (PESO)-র কড়া নির্দেশিকা আছে পটাশিয়াম ক্লোরাইড ব্যবহারের ক্ষেত্রে। তা বাজিতে ব্যবহার করা যায় না। বাজি প্রস্তুতকারকরা বেরিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল, আদালত অনুমতি দেয়নি। ফলে বেরিয়াম নাইট্রেটও নিষিদ্ধ।
সূত্রের খবর, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো বা বেরিয়াম নাইট্রেটের মতো জিনিস একত্রিত করে মইমের ল্যাবে চলত পরীক্ষানিরীক্ষা। অত্যাধুনিক জিনিসপত্র ছিল সেখানে। কীভাবে প্রকাশ্যে মইম ল্যাব চালাতেন, কার হাত তাঁদের মাথায় ছিল সেসব প্রশ্ন উঠছে।